হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ‘চরিত্রহীন ব্যক্তি’ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, ‘মিনিটে একজনকে তার স্ত্রী বানায়, আবার কিছুক্ষণ পর আরেক জনকে তার স্ত্রী বলে। এই ধরনের অপকর্মে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা কিভাবে জড়িত থাকে তা জাতি জানতে চায়।’
আজ বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মামুনুল হককে উদ্দেশ করে চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনের সরকার দলীয় সাংসদ মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘কে কত বড় নেতা সেটা দেখার কোনো বিষয় নেই। প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখে ভয়ে পেয়ে মামুনুল চট্টগ্রামে আসেনি।’
হেফাজতের বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে জানিয়ে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আপনারা দেখছেন বিভিন্ন জায়গায় তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। অপরাধ কেউ করলে প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করবে। রাজনীতি কেউ করতে চাইলে রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করবে। কিন্তু রাজনীতি করবো না, রাজনৈতিক কর্মী না আমি, আবার রাজনীতির নাম করে জ্বালাও-পোড়াওয়ের মতো ঘটনা ঘটাবে, এইসব কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। মানুষের ভোগান্তি, জানমালের ক্ষতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে যারা অরাজকতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় হেফাজতের আক্রমণের শিকার হয়ে এক আওয়ামী লীগ নেতা মারা গেছেন। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে তা খুঁজে বের করতে হবে।’
করোনাকালীন অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো কওমি মাদরাসা বন্ধ রাখতে হবে জানিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘যারা খোলা রাখবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে পুলিশ প্রশাসনের কাছেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’