রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৬ এপ্রিল, ২০২১ ২:০৪ : অপরাহ্ণ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নারীসহ ঘেরাওয়ের ঘটনায় তার পক্ষে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উদ্দিন ওরফে ফয়েজ মারজানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পোস্টে তিনি মামুনুল হকের প্রশংসা করে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন। গত ৩ এপ্রিল তার এই পোস্ট ফেসবুকে মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
ফয়েজ মারজানের ভাইরাল হওয়া এই পোস্ট জেলা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নজরে আসে। ফেসবুকে ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মী তার এই পোস্ট নিয়ে কড়া সমালোচনা করে তাকে সংগঠন থেকে বহিস্কারের দাবি জানান। তবে ফেসবুক ব্যবহারকারী অনেকে এই ছাত্রলীগ নেতার গুনকীর্তন করেন।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মারজানকে সংগঠনের শৃঙ্খলাপরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার দায়ে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
ফয়েজ মারজান সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের জাউয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি জাউয়াবাজার ডিগ্রি কলেজে পড়াশোনা করেছেন।
এই ছাত্রলীগ নেতা পোস্টে কী লিখেছেন?
গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নারীসহ ঘেরাওয়ের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ মারজান ফেসবুকে নিজের আইডিতে একটি পোস্ট দেন। কিন্তু তার আইডিটি এখন বন্ধ হয়ে গেছে।
তার সেই পোস্টের স্ক্রিনশর্ট রাজনীতি সংবাদের হাতে এসেছে। পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আজকে মামুনুল হক সাহেব ঘটনা কে কেন্দ্র করে, কিছু মানুষের মধ্যে যে আনন্দের উৎসব মেতে উঠেছে বিশেষ করে কিছু নামধারী ছাত্রলীগ কর্মীদের, আসলে আজ কিছু বলতে ইচ্ছে করছে, কেনো যানি মনে হচ্ছে কয়েকজন ছাত্রলীগের কর্মীর জন্য আজ গোটা ছাত্রলীগ সংগঠন টি কলংকিত। মামুনুল হক হলেন আমাদের দেশের ৪/৫ জন আলেমের মধ্যে বড় আলেমের মধ্যে একজন। তিনি একটা খারাপ কাজ করার আগে অন্তত ১০০ বার ভেবে দেখবেন তা কি হিতে বিপরীত হতে পারে কি, এমনকি উনার মাপের যেকোনো লোক কিছু করতে হলে আগে ভেবে নিবে অনেকবার, উনার সহধর্মিণী নিয়ে উনি একটা হোটেলে গিয়েছেন যে কোনো কারণনই হউক মেয়েটা তো উনার সহধর্মিণী, কিন্তু আমার কথা হচ্ছে সত্য মিথ্যা জানার আগে ছাত্রলীগের সব পোস্ট কত কিছু বলে এখন তাঁর শেষ ফল কি হল সেই সব ছাত্রলীগের কর্মীদের কাছ থেকে জানতে চাই, আমরা এমন ছাত্রলীগ একজন আলেমরেও সম্মান করতাম জানিনা, লোক দেখানি রাজনীতি বন্ধ করো, কয়জন ছাত্রলীগের কর্মী ভালো করি কোরআন হাদীস বুঝো,ভালো কইরা ছাত্র রাজনীতিও করতায় পাররায় না, যে কোনো বিষয় লইয়া ফেইসবুকে কেনে আওয়া লাগে, আগে নিজে ঠিক হও, পরে অন্যরে লইয়া মাতামাতি কইরো,একজন ছাত্রলীগের কর্মী ভুল করে গোটা সংগঠন এ গাইল হুনে…’