রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৫ এপ্রিল, ২০২১ ২:৩৭ : অপরাহ্ণ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নারীসহ অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় তার পক্ষ নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে বক্তব্য দেন কুষ্টিয়ার গোলাম রাব্বানী নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা। তার বক্তব্য ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে গতকাল রোববারই তাকে সাসপেন্ড করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
এএসআই পদবির পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী কুষ্টিয়ার ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর জেলায়। প্রত্যাহারের আগের দিন শনিবার (৩ এপ্রিল) ওই কর্মকর্তা পুলিশের পোশাক পড়ে ফেসবুক লাইভে আসেন।
পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. মুহিদ উদ্দিন জানান, গোলাম রাব্বানীকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। পেশার বাইরে গিয়ে কেন অপেশাদার আচরণ করেছেন-এটা জানতে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার ও ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
ফেসবুক লাইভে কী বলেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা?
ফেসবুক লাইভে এসে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের গুণকীর্তন করে গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘কাল মামুনুল হক হুজুরের একটি ভিডিও দেখলাম। যে ভিডিওতে দেখা যায়, স্ত্রীকে নিয়ে একটা রিসোর্টে গেছেন তিনি। অধিকাংশ সাংবাদিক সেখানে চিল্লাপাল্লা করে তার কাবিননামা দেখতে চাচ্ছে। আমার প্রশ্ন- সাংবাদিককে এই অধিকার কে দিয়েছে। আপনি যে কাবিননামা দেখবেন, আপনাকে এই অধিকার কি রাষ্ট্র দিয়েছে? আমি তো পুলিশের চাকরি করি, আমার জানা নাই। ভণ্ডামির একটা সীমা আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি স্ত্রী ব্যতীত অন্য কাউকে নিয়ে যেত, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতো। মিডিয়ার মাধ্যমে এমন একটা আলেম মানুষকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এভাবে হেনস্তা করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলে রাজধানীর অদূরে সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে হেফাজত নেতা মামুনুল হক একজন নারীসহ অবস্থান করছেন এমন খবর পেয়ে স্থানীয় কিছু লোকজন, ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা রিসোর্ট কক্ষটি ঘেরাও করেন। যদিও মামুনুল হক সঙ্গে থাকা নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন। পরে সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে হেফাজতের একদল নেতা–কর্মী, মাদ্রাসাছাত্র মিছিল নিয়ে এসে রয়েল রিসোর্টে হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে মামুনুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।