রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩১ মার্চ, ২০২১ ৬:৪৫ : অপরাহ্ণ
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়ে নিজের ফেসবুক পেইজে যে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন তা মুছে ফেলেছেন তিনি । বিকেল পাঁচটার পর তার ফেসবুক পেইজ থেকে পদত্যাগ ঘোষণার সেই অডিও ও পোস্টটি সরিয়ে নেওয়া হয়।
এরআগে বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের আপন ছোট ভাই কাদের মির্জা নিজের ফেইসবুক পেইজে লিখেন, আমি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করলাম। ভবিষ্যতে কোনো রকম জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না। ভবিষ্যতে আমি কোনো রকম দলীয় পদ-পদবির দায়িত্ব নেব না।
এছাড়া দলীয় পদ-পদবীর দায়িত্ব না নেয়ার কথাও উল্লেখ করে একটি অডিও আপলোড করেন তিনি।
এ অডিওতে তিনি বলেন, আমি সব অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলে এখন সবার কাছে খারাপ হয়ে গেছি। যে দলে সম্মান নাই, সেখানে আমি থাকব না। আমি বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সদস্য হয়েছি, সেখানে থেকেই কাজ করব।
এসময় কাদের মির্জা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, আপনি একসঙ্গে না পারলেও আস্তে আস্তে দলের দুর্নীতিবাজদের লাগাম টেনে ধরুন। যারা বেশি অনিয়মকারী, তাদের দল থেকে বের করে দিন।
কাদের মির্জা আরও বলেন, ঢাকায় সব দল একদল হয়ে গেছে। দিনের বেলা আলাদা রাজনীতি করলেও রাতের বেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি মিলে হোটেলে একসঙ্গে হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, কাদের মির্জা নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। মেয়র নির্বাচনের আগে থেকে কাদের মির্জা দলের কিছু নেতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। তিনি কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের বিরেুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নেন। গণমাধ্যমে তাদের সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন। ক্ষমতাসীন দলের নেতা হয়েও তিনি নানা ইস্যুতে অবরোধ-হরতাল করে আসছিলেন। তাকে নিয়ে দল বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে বলেও বহু নেতা অভিযোগ করেন।