নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :২৮ মার্চ, ২০২১ ৭:৪৭ : অপরাহ্ণ
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় আসলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য উৎসবের সময় কিন্তু আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় থাকে। এটা আমাদের ওপর আল্লাহর একটা রহমত। আর বাংলাদেশের জনগণের চেতনা যে সব সময় সজাগ এবং তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-আদর্শ বিশ্বাস করে, এটা কিন্তু প্রমাণিত সত্য।’
আজ রোববার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদযাপন ক্ষমতায় থেকে উদযাপন করার সৌভাগ্যের কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘সত্যি আমরা খুব আনন্দিত। জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করে গেছেন। আমরা সুবর্ণজয়ন্তী পালন করার সুযোগ পেলাম এবং জন্মশতবার্ষিকীও উদযাপন করতে পারলাম।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৭ সালে স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকেই উৎসবটা আয়োজন করেছিল। সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাত এবং তুরস্ক (টার্কির প্রেসিডেন্ট সুলেমান) একইসঙ্গে ওইদিন বাংলাদেশে এসেছিলেন। যাদেরকে নিয়ে আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তন স্থাপন করেছিলাম।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ব, এটাই প্রতিজ্ঞা।’
দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিন দেওয়া অব্যাহত থাকবে। তবে কেউ যাতে মাস্ক ছাড়া বাইরে না যায়। নিরাপদ দূরত্ব মেনে বসতে হবে। দুঃখের বিষয় আমরা স্কুল খুলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় এখন নয়, রোজার ঈদের পরে আবার স্কুল-কলেজ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুলে দেব।।’
গণভবন প্রান্তে সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ প্রান্তে বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি ও হুমায়ুন কবির।