আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানমালা পণ্ড করতে গতকাল ঢাকা-চট্রগ্রাম- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী যে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে, বিএনপি তার পৃষ্ঠপোষক। তিনি বলেন, বিএনপি তার দোসরদের দিয়ে যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তা দেশের জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে। অথচ বিএনপিই নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিজয়ের পর আনন্দে ফুল আর মিষ্টি নিয়ে দূতাবাসের দরজায় পৌঁছানোর প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়েছিল।
আজ শনিবার (২৭ মার্চ) তিনি তাঁর সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজের সময় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ভেতরে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী যে তান্ডবলীলা চালায়, এই ধৃষ্টতার জবাব জনগণ অবশ্যই দিবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতার জন্য সময়ে ভারত বিরোধিতা, আর সময়ে ভারতপ্রীতি বিএনপির রাজনীতির দ্বি-চারিতাকেই স্পষ্ট করে। এ অপরাজনীতি বিএনপিকে ক্রমশ জনবিচ্ছিন্ন করে তুলছে। ভারতের সরকারপ্রধানের সফরের বিরোধিতার আড়ালে তারা মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীর বিরোধিতাই করছে। বিএনপি অবস্থান নিয়েছে ৫০ বছর আগের পরাজিত শক্তির পক্ষে। সরকার বিরোধিতার আড়ালে বিএনপি রাষ্ট্রের মর্যাদা বিনষ্টের অপচেষ্টায় লিপ্ত।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে বিএনপির স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধের প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা প্রদর্শন দায়সারা এবং লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা মুখে স্বাধীনতার কথা বললেও স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত রেখেছে। বিএনপি ষড়যন্ত্র ও চোরাগলির রাজনীতি গত চার দশকের বেশি সময় ধরে চর্চা করে আসছে এবং উত্তরাধিকার বহন করে চলছে।
ক্ষমতার পরিবর্তন বিষয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ক্ষমতার মোহ বিএনপিকে অন্ধ করে রাখছে। ক্ষমতার পরিবর্তন কেবলমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই হবে। তাই আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
বিএনপি নেতাদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতা পেতে হলে জনগণের জন্য রাজনীতি করুন। ষড়যন্ত্রের রাজনীতি ক্ষণিকের কিন্তু জনগণের ভালোবাসা এবং আস্থা অর্জনের রাজনীতি চিরকালের।