নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :২৭ মার্চ, ২০২১ ৭:৪৯ : অপরাহ্ণ
এবার ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিএনপি। সোমবার ঢাকাসহ সব মহানগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মঙ্গলবার সারা দেশের সব জেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করবে দলটি। স্বাধীনতা দিবসে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এই দুই দিনের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি।
আজ শনিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর আগে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়ালি সভা হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে সভায় দলের মহাসচিব ছাড়াও অংশ নেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
হেফাজতের হরতাল কর্মসূচিতে বিএনপির সমর্থন রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রত্যেকটা সংগঠনের, প্রত্যেকটা নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে প্রতিবাদ করার। তারা যদি কোনো কর্মসূচি দেয় বা হরতাল আহবান করে সেটা যৌক্তিক তো বটেই। সরকার যদি তাকে প্রতিহত করবার বা বন্ধ করবার অগণতান্ত্রিক অথবা হঠকারী হুমকি দেয়- সেটা হবে একেবারেই হঠকারী ব্যবস্থা। এখানে কোনো অবাঞ্চিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তার দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার দিবসে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে মানুষ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ আগামী ২৯ মার্চ ঢাকাসহ সব মহানগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল এবং ৩০ মার্চ জেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল অথবা সমাবেশের কর্মসূচি আমরা ঘোষণা করছি।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে একদিকে যখন জনগণ মহান স্বাধীনতার দিবস পালন করছে, তখন অন্য দিকে এই অবৈধ সরকার তার পুলিশ বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা রাজপথে রক্ত ঝরিয়েছে। বায়তুল মোকাররমে জুমা নামাজের পরে একটি সংগঠনের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিনা উসকানিতে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রায় ২ শতাধিক তরুণ মারাত্মকভাবে গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছে। এর প্রতিবাদে হাটহাজারীতে শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর পুলিশের নৃশংস হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালানোয় কমপক্ষে ৪ জন নিহত ও অসংখ্য আহত হয়েছে। একই সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া একজন নিহত হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এটি ৫০ বছরের বাংলাদেশের ইতিহাসে জঘন্যতম একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। এটা নজিরবিহীন ঘটনা। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ ইতিমধ্যে জানিয়েছি।