রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৭ মার্চ, ২০২১ ৮:৪৫ : পূর্বাহ্ণ
৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। রেলের এসব পথের বিভিন্ন স্টেশনে সাতটি ট্রেন আটকা পড়েছিল বলে জানা গেছে।
তবে আপাতত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে কোনো ট্রেন যাত্রা বিরতি করবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রেলওয়ের আখাউড়া নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজনীতি সংবাদকে জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ফলে আপাতত এখানে কোন ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে না।
আখাউড়া রেলওয়ে থানা পুলিশের ওসি মাজহারুল করিম জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের কারণে ঢাকাগামী আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন এবং আন্তঃনগর মহানগর এক্সপ্রেস ও মহানগর গোধূলি ট্রেনটি আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে আটকা পড়ে। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। প্রথমে মহানগর গোধূলি ট্রেনটি আখাউড়া স্টেশন ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকায় সফরকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসাছাত্রদের তাণ্ডবে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর। শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় শহরের প্রধান সড়ক টিএ রোডে মাদ্রাসাছাত্ররা ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষুব্ধরা সড়কের বিভিন্ন স্থানে টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে রেলস্টেশনে বিক্ষোভ করে আগুন ধরিয়ে দেয়। রেল স্টেশনের সিগন্যাল, মাস্টার রুম, কন্ট্রোল রুম অন্যান্য কর্মকর্তাদের কক্ষ ব্যাপক ভাঙচুর করে। সিগন্যাল বক্স ভেঙে ফেলায় ঢাকার সাথে সিলেট ও চট্টগ্রামের সাথে সকল প্রকার ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ঢাকাগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে প্রবেশ করার সময় বিক্ষুব্ধরা পাথর নিক্ষেপ করলে ট্রেনটি ফিরে যায়।
স্টেশনের সিগন্যাল প্যানেলসহ সবকিছু আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ায় বিকাল সাড়ে ৪টার পর থেকে ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। তাদের হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার সোহেব আহমেদ বলেন, মাদ্রাসাছাত্ররা স্টেশনের সবকিছু পুড়িয়ে ফেলেছেন। এ কারণে বিকাল সাড়ে ৪টার পর থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মোদিবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসাছাত্রদের তাণ্ডবের সময় শহরের দাতিয়ারা এলাকার সাগর মিয়ার ছেলে মো. আশিক (২০) নামের এক তরুণ নিহত হন।