নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :২৭ মার্চ, ২০২১ ৪:০০ : অপরাহ্ণ
হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে বাধা দিলে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ফজলুল করিম কাসেমী।
আজ শনিবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে শুক্রবার ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ, সরকারি দলের ছাত্র-যুব-স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে হাটহাজারীতে চারজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন নিহত হন। আহত হন দেড় শতাধিক।
হতাহতের প্রতিবাদে আজ সারা দেশে বিক্ষোভ এবং আগামীকাল রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় হেফাজতে ইসলাম।
বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ফজলুল করিম কাসেমী বলেন, ‘মোদির সফরকে কেন্দ্র করে শহীদের রক্তে রঞ্জিত করা হয়েছে। হরতালে বাধা দিলে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে।’
সমাবেশে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘মসজিদে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। হেলমেট বাহিনী মহড়া দিয়ে আতঙ্ক তৈরি করেছে। রাজপথে নেমে এলে হেলমেট বাহিনী পালানোর পথ পাবে না। হেলমেট বাহিনীকে আশ্রয় দিয়েছে পুলিশ।’
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গতকাল আমাদের যত অনুষ্ঠান ছিল, সব বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের পেটোয়া বাহিনী নিরীহ জনগণের ওপর বর্বর হামলা করেছে। এর হিসাব আওয়ামী লীগকে দিতে হবে।’
হেফাজত ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, ‘আগামীকাল রোববার সকাল-সন্ধ্যাস শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন করা হবে। যদি এই হরতালে আওয়ামী লীগের হেলমেট বাহিনী বা আওয়ামী লীগ কোনো প্রকার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে পরবর্তী সময়ে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
হেফাজতের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে বায়তুল মোকাররম ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। পাশাপাশি বায়তুল মোকাররমের পাশে অর্থাৎ পল্টন মোড়ে রায়টকার, জলকামান ও প্রিজন ভ্যান রাখা হয়।