রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৮ মার্চ, ২০২১ ১০:২৩ : পূর্বাহ্ণ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মরদেহ আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় দেশে আসছে। জানাজা শেষে আগামীকাল শুক্রবার (১৯ মার্চ) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
মওদুদ আহমদের একান্ত সহকারী মোমিনুর রহমান সুজন সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুর সময় ৩টা ৫০ মিনিটে কফিনবাহী বিমানটি রওনা হবে। ঢাকায় পৌঁছাবে সন্ধ্যায়। বিমানবন্দর থেকে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে। পরদিন শুক্রবার ঢাকায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দ্বিতীয় জানাজা সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় জানাজাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে মওদুদ আহমদের কফিন হেলিকপ্টারে নিয়ে যাওয়া হবে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে। সেখানে বাদ আসর কোম্পানীগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে জানাজার পর বসুরহাটেও জানাজা হবে। পরে নিজের বাড়ির আঙিনায় আরো একটি জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তার লাশ দাফন করা হবে।
মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ ঢাকাসহ দেশজুড়ে একদিনের শোক পালন করছে বিএনপি। গতকাল বুধবার (১৭ মার্চ) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
গত মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মারা যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও উপ-রাষ্ট্রপতি মওদুদ আহমদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
গত ১ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত ১২টার দিকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে মওদুদ আহমদকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। তখন থেকেই মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মওদুদ।
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার ফলে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মওদুদ আহমদকে রাজধানীর এভারকেয়ার (সাবেক এপোলো) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। সেখানে তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ায় হৃদযন্ত্রে স্থায়ী পেসমেকার বসানো হয়।
মওদুদ আহমদের জন্ম ১৯৪০ সালের ২৪ মে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়। তার বাবার নাম মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও মা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মওদুদ আহমদ চতুর্থ।
মওদুদ আহমদ পেশায় স্বনামধন্য আইনজীবী। কিন্তু সে পরিচয় ছাপিয়ে দেশবরেণ্য রাজনীতিবিদ তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকলেও তিন দফা দল পাল্টে বিএনপি, জাতীয় পার্টি পরে আবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন এ নেতা। ক্যারিয়ারের সূচনালগ্ন থেকেই নানাবিধ কর্মকাণ্ডের কারণে যেমন নন্দিত হয়েছেন, আবার বারবার দল বদলে হয়েছেন সমালোচিতও।