রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১০ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা আঞ্চলিক রাজনীতি

এমপি নিজাম ও একরাম আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে: কাদের মির্জা


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৩ মার্চ, ২০২১ ১:০০ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা অভিযোগ করে বলেছেন, ‘এমপি নিজাম (ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী) ও একরাম চৌধুরীর (নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী) অস্ত্র আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার (১২ মার্চ) রাতে একরাম চৌধুরীর বাড়িতে এমপি নিজাম হাজারী আর একরাম চৌধুরীর নির্দেশে আমাকে হত্যা করার জন্য বৈঠক করে এবং আমার এখানে আবারো হামলা করার জন্য তারা পরিকল্পনা করেছে।’

আজ শনিবার (১৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা বলেন, ‘যতক্ষণ আমার এক বিন্দু রক্ত আছে, আমি এখান থেকে সরব না। আমি এটাতে আছি। আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলব। আমি অন্যায়, অবিচার ও জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব। এটা কার বিপক্ষে যায়, কার বিরুদ্ধে যায়, এটা আমার জানার বিষয় নয়।’

তিনি বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জে গ্রেপ্তার আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। গত কয়েকদিনে আমার ৭-৮জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমার নেতাকর্মীদের বাড়িতে ডিবি পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এখানে সবকিছু একতরফা হচ্ছে। প্রশাসনও আমার বিরুদ্ধে কাজ করছে।’

কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘আমি নিজে নিরাপত্তাহীনতায় না ভুগলেও আমার নেতাকর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ বিষয়ে প্রশাসন ও সরকার কী ব্যবস্থা নেবে তা তারা জানে। আমার শরীরে এক ফোঁটা রক্ত থাকা অবস্থায় আমি এখান থেকে নড়ব না।’

ঘটে যাওয়া সকল ঘটনার জন্য ঢাকা থেকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি নোয়াখালী থেকে তদন্ত করে তাহলে প্রভাবিত হবে। সেজন্য আমি প্রস্তাব করছি, আমাদের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও আমাদের এ অঞ্চলের নেতা সুজিত রায় নন্দী এ দু’জনসহ যাদেরকে দেন। ওনারা তদন্ত করে যদি আমি দোষী হই, আমার দলের নেতাকর্মী দোষী হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। আর না হলে এনএসআই, ডিজিএফআই আছে তাদেরকে দিয়ে তদন্ত করে যদি আমি এবং আমার অনুসারী যারা আছে অপরাধারের সাথে জড়িত থাকে তাহলে আমার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।’

কাদের মির্জা বলেন, ‘তদন্তে যদি আমি বা আমার কোনো কর্মীর অপরাধ প্রমাণ হয়, তাহলে তিনি (শেখ হাসিনা) যে শাস্তি দেবেন তা আমরা মাথা পেতে নেব।’

সংবাদ সম্মেলন শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নেতাকর্মীদের নিয়ে পৌরভবন থেকে বের হয়ে বসুরহাট বাজারের দিকে যান মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে কোম্পানীগঞ্জ বসুরহাটে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন কারণে সংঘর্ষ ও হামলা সংঘটিত হয়। এসব ঘটনা চলাকলে নিহত হয়েছেন সাংবাদিকসহ দুজন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়েছে ছয়টি। গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর