রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১০ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা আঞ্চলিক রাজনীতি

এজাহার সংশোধন করছেন বাদী, মামলা থেকে বাদ পড়ছেন কাদের মির্জা!


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১২ মার্চ, ২০২১ ১১:০০ : পূর্বাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সিএনজি চালক আলা উদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় বসুরহাট পৌর মেয়র কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে নিহতের ভাই এমদাদ হোসেন থানায় এজাহার দাখিল করলেও শেষ পর্যন্ত তা মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে কোম্পানিগঞ্জ থানায় এই এজাহার দায়ের করা হয়। কিন্তু রাতে বাদী এমদাদ হোসেন এজাহার সংশোধন করার কথা বলে সেটি থানা থেকে নিয়ে যান।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আলমগীর হোসেন রাজনীতি সংবাদকে বলেন, বাদী এজাহার সংশোধন করার কথা বলে সেটি থানা থেকে নিয়ে গেছেন। পরে তিনি সংশোধন করে আসলে এজাহারটি থানায় মামলা রেকর্ড করা হবে।

মামলার এজহারে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই কাদের মির্জাকে ১ নম্বর এবং তার ভাই সাহাদত হোসেন ও একমাত্র ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিকসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, বাদী এজাহার থেকে কাদের মির্জা ও তার ভাই এবং ছেলের নাম বাদ দিতে পারেন। এছাড়া এজাহারে নতুন কোনো আসামির নামও যুক্ত হতে পারে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে- আসামি কাদের মির্জার নেতৃত্বে সব আসামি পূর্বপরিকল্পিতভাবে পিস্তল, শটগান, পাইপগান, রামদা, লোহার রড, ককটেলসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ৫০-৬০টি ককটেল ফুটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং প্রতিবাদ সভায় হামলা চালায়। ৪ নম্বর আসামি নাজিম উদ্দিন বাদল আলাউদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে।

গত ৯ মার্চ বিকেল ও রাতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমানের (বাদল) অনুসারীদের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন সিএনজি চালক আলা উদ্দিন (৪০)। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। থমথমে পরিস্থিতিতে গত ১০ মার্চ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নোয়াখালী প্রেস ক্লাব এলাকা থেকে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ।

গত দেড় মাস ধরে বসুরহাটের পৌর মেয়র মেয়র কাদের মির্জার সাথে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিরোধের জের ধরে পুরো উপজেলা জুড়ে এক অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

গত সোমবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে মারধরের অভিযোগ ওঠে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর