রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১১ মার্চ, ২০২১ ১১:০০ : অপরাহ্ণ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সিএনজি চালক আলা উদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় বসুরহাট পৌর মেয়র কাদের মির্জাকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতর বাবা মুমিনুল হক।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি।
মামলার এজহারে কাদের মির্জাকে ১ নম্বর এবং তার ভাই সাহাদত হোসেন ও একমাত্র ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিকসহ ১৬৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে বসুরহাট পৌরভবন ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা। ভেতরে পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই আব্দুল কাদের মির্জা তার অনুসারীদের নিয়ে অবস্থান করছেন। এতে বসুরহাট এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে- আসামি কাদের মির্জার নেতৃত্বে সব আসামি পূর্বপরিকল্পিতভাবে পিস্তল, শটগান, পাইপগান, রামদা, লোহার রড, ককটেলসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ৫০-৬০টি ককটেল ফুটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং প্রতিবাদ সভায় হামলা চালায়। ৪ নম্বর আসামি নাজিম উদ্দিন বাদল আলাউদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে।
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নোয়াখালী প্রেস ক্লাব এলাকা থেকে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত দেড় মাস ধরে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিহবন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই মেয়র কাদের মির্জার সাথে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিরোধের জের ধরে পুরো উপজেলা জুড়ে এক অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
গত ৯ মার্চ বিকেল ও রাতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমানের (বাদল) অনুসারীদের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। এতে একজন নিহত হয় আর আহত হন অন্তত ৫০ জন। থমথমে পরিস্থিতিতে গত ১০ মার্চ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।
এর আগে গত সোমবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে মারধরের অভিযোগ ওঠে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।