রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১০ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা আঞ্চলিক রাজনীতি

বসুরহাটে কাদের মির্জা-বাদল গ্রুপের সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ২০


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৯ মার্চ, ২০২১ ৮:৩০ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ এবং দোকানপাট ও অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়। এতে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনিসহ চার পুলিশ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়।

আজ মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বসুরহাট রূপালি চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে কনস্টেবল কালাম, আলাউদ্দিনসহ পাঁচ পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের কর্মী মো. আজিজ খোকন (৫০), মো. করিম (৪৫), গুলিবিদ্ধ মো. রাজিব হোসেন (২৪), মো. এমরান হোসেন (২৪) ও জিংকু (২০) সহ অন্তত ২০ জন রয়েছেন।

আহতদের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশ চলা অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে হঠাৎ করে আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকরা পৌরসভা ভবন থেকে বের হয়ে ধাওয়া দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এরপর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষের লোকজন ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভাঙচুর চালায়। মুহুর্তের মধ্যে পুরো কোম্পানীগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে পুলিশ ও র‌্যাব লাঠিচার্জ করে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা জানান, গতকাল যারা মুজিব শতবর্ষ উদযাপনের মঞ্চ ভাংচুর করেছে জনগণ আজকে তাদের প্রতিহত করেছে।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বসুরহাট পৌরসভা চত্ত্বরে এক সংবাদ সম্মেলন করেন পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। এ সময় তিনি দাবি করেন মঙ্গলবার (৮ মার্চ) খিজির হায়াত খানকে তিনি লাঞ্ছিত করেননি। উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। তার বিরুদ্ধে অপরাজনীতিকারীরা মিথ্যাচার করছে এবং পরিকল্পিতভাবে নাটক সাজাচ্ছে। গতকাল রাতে খিজির হায়াত খান ও মিজানুর রহমান বাদলের লোকজন বাজারে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান জানান, দলীয় কার্যালয়ের পাশে অবস্থানের সময় হঠাৎ করে আবদুল কাদের মির্জা, তার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। এক পর্যায়ে মির্জা কাদের তাকে পাঞ্জাবি ধরে বাহিরে নিয়ে এসে মারধর করে। মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার সাথে থাকা লোকজন তাকে লাথি, কিল, ঘুষি মেরে পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলে।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর