সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে তার ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা বলেছেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব আমি রাজাকারের সন্তান না। আপনি পদ-পদবির জন্য মেনে নিতে পারেন, আমি মেনে নেব না।’
আজ মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সকালে বসুরহাটে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বসুরহাটের চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে উপস্থিত সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা প্রাঙ্গণে ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা, লুটপাট, মুজিব শতবর্ষ উদযাপনের মঞ্চ ভাঙচুর, আওয়ামী লীগের নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ এনে এ সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেন কাদের মির্জা।
কাদের মির্জা অভিযোগ করে বলেন, ‘মুজিববর্ষ পালনের জন্য মেলা ও সাংস্কৃতিক মঞ্চ করেছি। রাহাত-বাদলের নেতৃত্বে সোমবার রাতে অস্ত্রধারীরা সেটা ভেঙে দিয়েছে। তারা অস্ত্র হাতে অফিস-দোকান ভাঙচুর করেছে। সেখানের সিসি ক্যামেরা ভেঙেছে।’
আমার নেতৃত্বে কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগ চলবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজন জাসদের লোক। দুজনই গণবাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। তারা দলে হাইব্রিড। খিজির হায়াত জাসদের প্ররোচনায় এ ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে। তাদের এ কমিটি আমরা মানি না। আমরা গঠনতান্ত্রিক উপায়ে এখানে কমিটি করছি।তাদের এ কমিটি আমরা মানি না। আমরা গঠনতান্ত্রিক উপায়ে এখানে কমিটি করেছি। সেই কমিটির নেতৃত্বে কোম্পনীগঞ্জে আওয়ামী লীগ চলবে। এটিই হলো শেষ কথা।’
কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি জনপ্রতিনিধি, আমি জনগণের পক্ষে কথা বলছি। প্রতিপক্ষ কথা বলছে নিজস্ব স্বার্থে। যারা অপরাজনীতি করে, তাদের সঙ্গে আমি রাজনীতি করতে পারব না। আমি আওয়ামী লীগের কমিটিতে থাকতে না পারলে, শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সদস্য হিসেবে আমি কাজ করব।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যার ঘটনায় দু’জনকে আটক করার পর একজনকে ছেড়ে দিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করছে। জজ মিয়া নাটকের ষড়যন্ত্র চলছে। আমি সেটা কখনও মেনে নেবো না।’