শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪ | ১৫ আষাঢ়, ১৪৩১ | ২২ জিলহজ, ১৪৪৫

মূলপাতা বিএনপি

একবারের জন্যও মাওলানা ভাসানীর নাম উচ্চারণ করে না আওয়ামী লীগ: ফখরুল


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৯ মার্চ, ২০২১ ৯:৫০ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

একাত্তরের ৭ মার্চ ও জিয়াউর রহমান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য রেখেছেন তা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে মিথ্যাচার করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা দেশ স্বাধীন করেছেন তাদের মধ্যে একজন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। অথচ একবারের জন্যও তার নাম উচ্চারণ করে না আওয়ামী লীগ।’

১৯৭১ সালের ৯ মার্চ পল্টন ময়দানে মওলানা ভাসানীর জনসমাবেশকে স্মরণ করতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

আজ মঙ্গলবার (৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে এই আলোচনা সভা হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘একদিনে, একজনের ভাষণে স্বাধীনতা আসেনি-এই কথাটাই আমরা বারবার বলতে চেয়েছি। আমাদের সেই বক্তব্যের পরে সরকার প্রধান ক্ষিপ্ত হয়ে অনেক কথা বলেছেন, যেটা মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছু নয়। কেনো এই মিথ্যাচার? এর কারণটা কী? একটাই কারণ এখানে শুধু তাদের যে লক্ষ্য সেই লক্ষ্যকে চরিতার্থ করতে চায়, তাদের বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় যে, একজন মাত্র ব্যক্তি তার একক ঘোষণায়, তার একক কথায় দেশ মুহূর্তের মধ্যে স্বাধীন হয়ে গেছে।’

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে কোনো একজন বললেন যে, ২৫/২৬ মার্চ ….। এটা হাস্যকর, এটা হাস্যকর ছাড়া কিছু নয়। এটা কেউ বিশ্বাস করবেন না এজন্যে যে, দেখা যায় যে, উনি এমন সমস্ত কথা বলেন, যার ঐতিহাসিক প্রমাণ তিনি দেখাতে পারেন না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা কোনো নেতাকে ছোট করার জন্য নয় বা কাউকে বড় করার জন্য নয়। আমরা আমাদের স্বাধীনতাতে যার যার যে অবদান আছে, সেই অবদানকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চাই। আজকে সেজন্যে আপনাদের (ক্ষমতাসীন সরকার) শরীরে গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। আপনারা বিভিন্ন রকমের অসংলগ্ন কথা-বার্তা বলছেন, অপ্রকৃতিস্থ কথা-বার্তা বলছেন যেগুলোর সঙ্গে সত্যের কোনো চিহ্নমাত্র নেই।’

আওয়ামী লীগের অবদানের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অবশ্যই, আপনাদের অবদান আছে। অবশ্যই, বিরাট বিরাট অবদান আছে। ১৯৭১ সালে আপনাদের যে অবদান সেই অবদান কেউ কোনোদিন আমরা অস্বীকার করি না। একই সঙ্গে আপনারা যখন মূল নায়কের অবদানটাকে অস্বীকার করেন সেটাকেও আমরা কোনো মতেই মেনে নিতে পারি না। আমি আগেও বলেছি, শহীদ জিয়ার খেতাব তুলে নেবেন। নিন। কে খেতাব পেল কী পেল না তাতে কিছু আসে যায় না শহীদ জিয়ার। তিনি এদেশের মানুষের অন্তরে রয়েছেন।’

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বের প্রশংসা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তিনি একজন কিংবদন্তির নায়ক। উনার নামের মধ্যে ম্যাজিক্যাল বিষয় রয়েছে। তিনি আসামের নির্যাতিত কৃষকদের পক্ষে বিশেষ করে বাঙালি কৃষকদের পক্ষে আন্দোলন করতে ছুটে বেড়াতেন পুরো আসাম। সেই সময়ে আসামের ভাসানচর আছে, সেখানে তিনি ঘোড়া নিয়ে যেতেন। মানুষ দেখতো ভাসানী এই এখন এখানে, আবার ৫০ মাইল দূরে আরেক জায়গায়। সেই অগ্নিঝরা বক্তৃতা দিয়ে তিনি মানুষকে সংঘবদ্ধ করছেন, জমিদারদের বিরুদ্ধে মানুষকে সংঘবদ্ধ করছেন। সেই থেকে ভাসানচর থেকে তার নাম হয়েছে ভাসানী।’

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ প্রমুখ।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর