রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৮ মার্চ, ২০২১ ১০:০০ : অপরাহ্ণ
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার উপস্থিতিতে তার সমর্থকরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের (৭০) ওপর হামলা করেছে। আহত খিজির হায়াত খানকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে আরও ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আজ সোমবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বসুরহাট রূপালী চত্বরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কার্যালয় উদ্বোধনের সময় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, রূপালী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান কয়েকজন দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে সংগঠনের নতুন কার্যালয় উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী শ্লোগান দিয়ে ওই কক্ষে হামলা চালায়। এতে খিজির হায়াত খানসহ দলীয় ১০ নেতাকর্মী আহত হয়।
খিজির হায়াত খান সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, ‘মেয়র কাদের মির্জার নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী এসে এখানে অফিস করা যাবে না বলে বাধা দেয়। প্রথমে কলার ধরে আমাকে লাঞ্ছিত করেন। একপর্যায়ে কাদের মির্জার সাথে থাকা শতাধিক সমর্থক আমার কলার ধরে রাস্তার নিয়ে লাথি, কিল, ঘুষি মেরে পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলে। এসময় কাদের মির্জা আমাকে ধরে রাখেন। আমি থানা পুলিশকে জানালেও তারা আমাকে কোনো সহযোগিতা করেনি।’
এ ঘটনায় মেয়র কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করবেন বলে তিনি জানান।
অভিযোগের বিষয় মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, পরিস্থিতি খারাপ দেখে এ সময় তিনি উত্তেজিত জনতার হাত থেকে খিজির হায়াত খানকে রক্ষা করেছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে এখনো থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে উপজেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান ও সাধারণ সম্পাদককে বহিস্কার করেন আবদুল কাদের মির্জা।