রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৮ মার্চ, ২০২১ ৮:৪৫ : অপরাহ্ণ
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মূল হোতা ছিলেন জেনারেল জিয়াউর রহমান’। জিয়াউর রহমান যুদ্ধের শুরুতে বাঙালি হত্যায় জড়িত ছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করতে জিয়াউর রহমানকে বাধ্য করা হয়েছিলো।’
আজ সোমবার (৮ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
৭ মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার জন্য ধাপে ধাপে এদেশের মানুষকে প্রস্তুত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। আর ৭ মার্চের ভাষণে তিনি গেরিলা যুদ্ধের সব নির্দেশনা দিয়েছিলেন। যেই ভাষণ শুনে পুরো জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সেই ভাষণের গুরুত্ব বিদেশিরা বুঝলেও দেশের কিছু মানুষ তা বোঝে না।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘চট্টগ্রামে ২৫ মার্চ যারা ব্যারিকেড দিচ্ছিল, তাদের ওপর যারা গুলি চালিয়েছিল, তার মধ্যে জিয়াউর রহমান একজন। চট্টগ্রামের যারা মুক্তিযোদ্ধা, অনেকের কাছে জিজ্ঞেস করলে এ তথ্য পাওয়া যাবে। দেশেও আছে, বিদেশেও অনেকে আছে। যে জাতির পিতাকে হত্যা করে, সংবিধান লঙ্ঘন করে, ক্ষমতা দখল করে, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে, সেই অবৈধ ক্ষমতায় বসে দল গঠন করেছে, তার প্রতিষ্ঠিত দলের নেতারা ৭ মার্চের ভাষণের ভাষা বুঝবে না, মর্ম বুঝবে না এটাই তো স্বাভাবিক।’
ভাষণটির ৫০ বছর পর বিএনপি এ দিবস পালন করলেও তারা এখনো এতে কিন্তু খোঁজেন বলে মন্তব্য করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। তিনি বলেন, ‘আজকে বিএনপির নেতার বক্তব্য আর ওই দিনের কথা শুনে আমার শুধু মনে হচ্ছে এরা আসলেই পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর কোনো দালালি নিয়েই ছিল। এখনো তারা তাদের তোষামোদি ও চাটুকারিতা ভুলতে পারে নাই। সেজন্য তারা কিন্তু খোঁজে। এই যে ভাষণে নাকি স্বাধীনতার কোনো ম্যাসেজই পায়নি।’
বিএনপি পাকিস্তানের মতো করেই বাংলাদেশে রাজনীতি করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা বিএনপির কাছে শুধুই ভোগের বস্তু। জনগণের কল্যাণ তাদের কাছে কোনো গুরুত্বই বহন করে না।’