আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, কিছু অবাঞ্ছিত ব্যক্তি এখন আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষ। এরা মিটিং মিছিলে আসেন না, বড় বড় কথা বলেন, ব্যানার ও পোস্টার ও সংবাদপত্রে বিবৃতিতে থাকেন সরব। তারা কখনো তৃণমূল নয়, সুযোগসন্ধানী।
আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
দেশ ও দলকে নিয়ে আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে আ জ ম নাছির বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে তৃণমূলকে সংগঠিত হতে হবে। ৭ মার্চ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অবিনাশী শক্তি। যেই শক্তিতে বলীয়ান হয়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা হিম্মত রাখি যেকোনো অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রাজপথে থেকে মোকাবেলা করবো এবং দেশ থেকে তাদের নির্মূল করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, ৭ মার্চ বাঙালি জাতিসত্তার জাগরণের ঐতিহাসিক দলিল। এ দিনটি জাতীয় দিবস পালনের সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও আমরা ঘরে ঘরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারিনি। এ ব্যর্থতা স্বীকার করে আগামীতে এই দিনটিকে সম্মান ও শ্রদ্ধায় অভিষিক্ত করতে দলীয় নেতাকর্মীদের সজাগ হতে হবে।
তিনি বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা যদি কেউ না মানেন তিনি অবশ্যই দলীয় প্রতিপক্ষ। যাদের সমর্থনে দলে অনুপ্রবেশ করেছেন তারা অবশ্যই দলের নীতি আদর্শচ্যুত হবেন। এদের যারা প্রশ্রয় দিচ্ছেন তাদেরও একই পরিণতি ভোগ করতে হবে। আজ তারাই আমাদের প্রতিপক্ষ।
নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, আইন বিষয়ক সম্পাদক শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আমিনুল হক, বেলাল আহমেদ প্রমুখ।