রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৬ মার্চ, ২০২১ ৯:০০ : অপরাহ্ণ
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনলে মানুষ আজও উদ্দীপ্ত হয়। গায়ের লোম যেভাবে খাড়া হয়ে যায়, এমন ভাষণ বিশ্ব ইতিহাসে প্রকৃতপক্ষে কেউ দেননি।’
আজ (৬ মার্চ) শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। ঐতিহাসিক সাত মার্চ উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বঙ্গবন্ধুর সাত মার্চের ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বাঙালি একটি নিরস্ত্র জাতি ছিল, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের একটি ভাষণের মাধ্যমে নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র বাঙালিতে রূপান্তরিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এমন একটি ভাষণ ছিল, যার যা কিছু ছিল তা নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের পর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে লেখা হয়েছিল, চতুর শেখ মুজিব প্রকৃত অর্থে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা ঘোষণা করার জন্য তাকে অভিযুক্তও করা যাচ্ছে না।’
বিএনপি ৭ মার্চ পালনের ঘোষণা দেওয়ায় তাদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এতদিন পরে তাদের বোধদয় হল। মির্জা ফখরুল সাহেব এটিও বলেছেন ৭ মার্চ ইতিহাস, এই ইতিহাসকে আমাদের স্বীকার করতে হবে। আমি ফখরুল সাহেবদের বলব বাকি যে ইতিহাস বিকৃতি করেছিলেন, সেটাও ভুল স্বীকার করুন। তাহলে জাতি আপনাদেরকে সাধুবাদ দেবে।’
করোনা মহামারি নিয়ে একটি ফেসবুক পেজ থেকে জনগণের মধ্যে গুজব ছড়ানোর কারণে লেখক মুশতাক আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়েছিল জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি ও তাদের মিত্ররা লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর জন্য মায়াকান্না করছে। তার মৃত্যু যে স্বাভাবিক, তা তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। তিনি জামিন কেন পাননি, সেটি কোর্ট বলতে পারবে, এই এখতিয়ার কোর্টের। ’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে যখন কোনো অর্জন হয়, আমরা যখন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পেলাম, তখন একটি পক্ষ লেগে গেল অন্য বিষয় নিয়ে মাঠ গরম করার জন্য। অথচ এটি নিয়ে একটি অভিনন্দন তাদের মুখ থেকে আসেনি। এটি তাদের একপেশে ও চিন্তার দৈন্যতা। দেশের অর্জন যে তাদের চোখে পড়ে না, কানে যায় না সেটিরই বহিঃপ্রকাশ।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচুর অপপ্রচার চালানো হয় জানিয়ে হাছান মাহমুদ দলীয় নেতাকর্মীদের সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনের প্রচার বেশি করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘বড় বড় স্লোগান ও ছবি তুলে ফেসবুকে দেয়ার চেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে-অপপ্রচারগুলোর বিরুদ্ধে সুপ্রচার চালানো, উন্নয়ন ও অর্জনের প্রচার করা। সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ্রপচারের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও আওয়ামী লীগের অর্জনগুলো তুলে ধরা। আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের ভালো প্রচার ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার কর্মীদেরও মূল্যায়ন করবো।’
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ন সম্পাদক দেবাশীষ পালিতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন প্রাবন্ধিক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক মো. শামসুল হক।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান, সহসভাপতি মো. মঈন উদ্দিন, ফখরুদ্দিন চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।