বিএনপির অগণতান্ত্রিক আচরণ এবং ষড়যন্ত্রের রাজনীতিই গণতন্ত্রের বিকাশে প্রধান বাধা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘দেশে-বিদেশে এখনো গণতন্ত্র ও উন্নয়নবিরোধী অপশক্তি সক্রিয়। এ অপশক্তি মোকাবিলায় শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
আজ (৪ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রকাশিত গণতন্ত্র সূচক-২০২০ প্রতিবেদনে গত এক বছরে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরো চার ধাপ এগিয়েছে বলা হয়েছে—এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনা মহামারিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যখন গণতন্ত্রের পরিসর সংকুচিত হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের এ অগ্রগতি শেখ হাসিনা সরকারের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার বৈশ্বিক স্বীকৃতি।’
তিনি আরো বলেন, ‘নিন্দুকের মুখে ছাঁই দিয়ে এ প্রতিবেদনে করোনাকালে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অব্যাহত উত্তরণকেই বিশ্বের মাঝে তুলে ধরা হয়েছে। এ স্বীকৃতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়ার গতিকে আরো বেগবান করবে।’
দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি প্রায়শই বলে সরকার নাকি দেশকে বিরোধীদল শূন্য করতে চায়। প্রকৃতপক্ষে জনগণ বিএনপিকে একটি দায়িত্বশীল ও শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবেই দেখতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থান করলেও অরাজনৈতিক ভাষায় সরকারের সমালোচনা করছেন এবং অন্ধকারে ঢিল ছুড়ছেন। বিদেশে বসে বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল মিথ্যাচার আর কল্পিত অভিযোগ সংবলিত কথামালার চাতুরি ছাড়া কিছুই নয় বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।’
বিএনপি নিজেদের অতীত ভুলে গিয়ে সরকারের সমালোচনা করছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নিজেই এখন উন্মত্ত। অন্ধকারে অলিগলি খুঁজে ব্যর্থ হয়ে কর্মীদের রোষানল থেকে বাঁচতে তারা এখন আবোল-তাবোল বকছে। এ দেশে রাজনীতিতে যা কিছু জনবিরোধী ও অকল্যাণকর, তার সবকিছু বিএনপির হাত ধরেই হয়েছে।’