রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩০ জানুয়ারি, ২০২১ ১০:০০ : পূর্বাহ্ণ
নিখোঁজের এক মাস পর চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টি (জাপা) নেতা আনোয়ার হোসেনের (৪২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার সদর ইউনিয়নের দরবেশহাট সওদাগরপাড়ায় নিজ খামারবাড়িতে তাকে হত্যা করে মরদেহ মাটি চাপা দেয়া হয়েছিল। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মাটি খুঁড়ে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত আনোয়ার হোসেন লোহাগাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি। তিনি লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের মৃত আহমদ সওদাগরের ছেলে।
এ ঘটনায় আসিফ ও আনসার নামে দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। তারা দুজনই আনোয়ারের কর্মচারী ছিলেন। এর মধ্যে আনসার রোহিঙ্গা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, আনোয়ার হোসেন পেশায় গরু ব্যবসায়ী ছিলেন। দরবেশহাট সওদাগরপাড়া এলাকায় তার খামারবাড়িতে কাজ করতেন আসিফ ও আনসার। তারা টাকার লোভে গত ৩০ ডিসেম্বর আনোয়ারকে হত্যা করে লাশ মাটিচাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে দুজনের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল।
এ ঘটনায় পুলিশ টেকনাফের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আনসারকে আটকের পর সে জিজ্ঞাসাবাদে আনোয়ারকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এরপর তার দেয়া তথ্য মতে পুলিশ খামারবাড়ির পেছন থেকে মাটি খুঁড়ে আনোয়ারের লাশটি উদ্ধার করেছে বলে জানায় লোহাগাড়া থানার ওসি জাকির হোসেন মাহমুদ।
লোহাগাড়া থানার ওসি তদন্ত রাশেদুল ইসলাম জানান, আনসার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, ঘটনার দিন আনোয়ারকে কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তিনি জ্ঞান হারান। এরপর তার গলা কেটে লাশ কম্বল দিয়ে পেঁচিয়ে মাটিচাপা দেন তারা। পরে আনোয়ারের পকেটে থাকা ১৮ হাজার টাকা দুজনে ভাগ করে নিয়ে পালিয়ে যান।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর বিকেলে তার খামারে যান আনোয়ার। রাত ৮টার দিকে বটতলী ফোরকান টাওয়ারের বাসায় ফেরার পথে তিনি নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন ৩১ ডিসেম্বর সকালে আনোয়ার হোসেনের ছোট ভাই মো. সেলিম লোহাগাড়া থানায় একটি জিডি করেন। গত ২১ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন তার স্ত্রী নার্গিস আক্তার। মামলার পর পুলিশ বিভিন্ন সোর্স ও প্রযুক্তির মাধ্যমে নিখোঁজ আনোয়ারকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। সোর্স ও বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ নিশ্চিত হয়ে আসিফ ও আনসার নামের আনোয়ারের দুজন কর্মচারীকে গ্রেফতার করে।