রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন
প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি ২০২১, ৭:৩০ অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি, নেতারা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিলে যে ভোট ডাকাতির পাতানো নির্বাচন সম্পন্ন করেছে, সেটা শত সীমাবদ্ধতা স্বত্ত্বেও মিডিয়ার কারণেই দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। সবাই দেখেছে, নির্বাচনের নামে বুধবার চট্টগ্রামে কি হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। নগরবাসী ও গণমাধ্যম কর্মীদের ‘ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা’ জানিয়ে তিনি এ বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে শাহাদাত বলেন, ‘মামলা-হামলা, সন্ত্রাসীদের হুমকি-ধমকি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সীমাহীন হয়রানি, পথে পথে বাধা-নির্যাতন, শত প্রতিকূলতার পরও চট্টগ্রামের জনগণ আমার তথা বিএনপির পক্ষে তাদের সমর্থন অব্যাহত রেখেছিল। এ কারণে ভয় পেয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেয়নি আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। অথচ ন্যূনতম সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই, ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারলেই জনগণ আওয়ামী লীগ আর প্রশাসনের সকল চক্রান্ত ভণ্ডুল করে দিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে আমাকেই নির্বাচিত করত। এরপরও অনেক এলাকায় জনতা ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন, সাধ্যমতো প্রতিবাদ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায়, গণসংযোগে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীরা পাশে থেকে, অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাকে যে সাহস ও শক্তি যুগিয়েছেন, তাতে আমি নির্বাচনের মাঠে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছি। আমার অন্তর থেকে আমার প্রাণপ্রিয় নেতাকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। একইসঙ্গে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতা সহযোদ্ধারা আমাকে উপদেশ-পরামর্শ দিয়ে এ নির্বাচনে সহযোগিতা করেছেন, আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।’
বিবৃতিতে শাহাদাত বলেন, ‘আমি ডা. শাহাদাত হোসেন দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, তৃণমূল থেকে উঠে আজকের এ অবস্থানে এসেছি। আমার সঙ্গে চট্টগ্রামের জনগণের নাড়ির সম্পর্ক। মামলা-হামলা, নির্যাতন, নির্বাচনে জোর করে পরাজিত করে আমাকে দমানো যাবে না। জনগণের অধিকারের প্রশ্নে, গণতন্ত্রের লড়াইয়ে আমি বিন্দুমাত্র আপোষ করব না। দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় আমি লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাব। দলীয় নেতাকর্মী ও চট্টগ্রামবাসীর সুখে দুঃখে অতীতের ন্যায় আগামীতেও পাশে থাকবো।’