ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও নোয়াখালীর মানুষদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে তারা তারা নিক্সন চৌধুরীর কুশপুত্তলিকাও দাহ করে।
আজ (১৯ জানুয়ারি) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এদিকে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর বক্তব্যের জবাবে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য বাচ্চা ছেলে, মাদকাসক্ত, যাদের যোগ্যতা নেই, নীতি নৈতিকতা নেই তারাই আজ এমপি হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘খুব কষ্ট লাগে, আমার কোথাও কোথাও হয়তো ভুল থাকতে পারে, এখানে ৪৭ বছর রাজনীতি করি, জেল-জুলুম খেটেছি, অনেক কিছু সহ্য করেছি, মনের কষ্ট থেকে কিছু কথা বলি, বলতে গিয়ে হয়তো ভুল তথ্য গিয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, প্রথমে দেখেন, ফারুক খানের মতো লোক আমাকে পাগল-উন্মাদ বলল। ১৬ তারিখ এ বসুরহাট পৌরসভার মানুষ আমি কি পাগল না উন্মাদ সেটা প্রমাণ করেছে। নিক্সন চৌধুরী সে একজন এমপি, আমি কি বলবো, সে আমাকে বলছে পাগল, পাবনা পাঠাতে, গণধোলাই দিতে। সে আমার নোয়াখালীকে অপমান করে কথা বলেছে, আরও নানা কথা।
আজ দুপুরে পৌরসভা মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের মির্জা বলেন, ‘নিক্সন চৌধুরী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অপমান করেছে। নেত্রী জাফর উল্যাহ সাহেবকে মনোনয়ন দিয়েছে, সে সেখানে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে চ্যালেঞ্জ করে জাফর উল্যাহ সাহেবের বিরুদ্ধে ভোট করে। সন্ত্রাসী দিয়ে ভোট নিয়ে জয়যুক্ত হয়েছে। সে ছেলে আজ এত সাহস পায়, আওয়ামী যুবলীগের মতো সংগঠন ফজলুল হক মনির প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের প্রেসিডিয়াম মেম্বার হয়। সে যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে, নির্বাচন হওয়ার পর তাকে তো দলেও ফিরিয়ে নেয়নি। বহিষ্কার করেছে কিনা তা আমি জানি না। কিভাবে তাকে প্রেসিডিয়াম মেম্বার করা হয়েছে? এদের তো প্রমোশন হচ্ছে, ইউএনও-এসিল্যান্ডের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেও তার প্রমোশন হয়। এজন্য তার মুখ থেকে তো নিয়ম-মাফিক কথা আসবে না। আর তারা তো শেখ পরিবারের লোক-আমরা তো চুনোপুঁটি, গ্রামের সাধারণ মানুষ। কে শুনবে আমাদের কষ্টের কথা, অপমান-লাঞ্ছিত হচ্ছি। আমার নির্বাচনে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে আল্লাহ আমাকে মৃত্যু দেক।’
তিনি আরও বলেন, ‘কষ্ট হয় যখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আমার বড় ভাই অভিনন্দন জানিয়েছে। গাজীপুরের মেয়র, আলাউদ্দিন নাসিম, প্রবাসী, বুদ্ধিজীবী, বিভিন্ন পেশার মানুষ এবং বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিনিধিরা আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তিনজন ব্যতীত একটা লোক আমার খবরও নেয়নি। অথচ আমার এ নির্বাচনটা আমি বাংলাদেশে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। আমাকে অভিনন্দন না দেক, আমার এলাকার জনগণকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অভিনন্দন জানানো উচিৎ ছিল, সেটিও করেনি।’