রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ৯:৪৫ : অপরাহ্ণ
২০০৭ সালে সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময়ে গ্রেফতার হওয়ার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সর্বপ্রথম আমাকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও আমি বিরোধী দলে ছিলাম, তারপরও। সাধারণত আমাদের দেশে সেটা হয়না। সব সময় দেখা যায়, যারা ইমার্জেন্সি দিয়েছে, তারা ক্ষমতায় যে থাকে তাকেই ধরে। কিন্তু সেই সময় আমাকে আগে ধরল।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা মোবাইল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ সমর্থন দিয়েছে বলেই টানা ক্ষমতায় থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে পারছি। প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয়ে শপথ নিই, সেদিনই বলেছিলাম আমি মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করব। প্রধানমন্ত্রীত্ব আর কিছু না, প্রধানমন্ত্রীত্ব আমার কাছে এটা যে, আমি কাজ করার সুযোগটা পাচ্ছি। কাজ করার ক্ষমতাটা পাচ্ছি। কাজেই সেই মানুষের জন্য কাজ করব, মানুষের সেবা করব। আমার সরকার মানে মানুষের সেবক। সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই।
জেলে বসেই ভবিষ্যতে কীভাবে দেশের উন্নতি করা যায়, সেটি ভেবে রেখেছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, গ্রেফতারের পর ভবিষ্যতে দেশকে কীভাবে উন্নত ও সমৃদ্ধ হিসেবে গড়ে তোলা যায়, কারাগারে বসেই সেই পরিকল্পনা করেছিলাম। আমি বসে থাকিনি। ওই কারাগারে যখন ছিলাম, প্রথম যখন গেলাম, তখনই আমি চিন্তা করলাম যে, একদিন না একদিন তো এখান থেকে মুক্তি পাব, দেশের জন্য কাজ করব। পরিকল্পনাগুলো করে কাগজে লিখে রাখতেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। ‘কি কাজ করব, কোন সালে কি করব, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা, স্যানিটারি ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করা, মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন নিশ্চিত করা, শিক্ষার হার বাড়ানো, খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া– এসব বসে বসে চিন্তা করে আমি লিখে রাখতাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্ধকার, ঘন অন্ধকার বনায়ন..দেখতে সুন্দর। কিন্তু আমাকে এই ঘন অন্ধকারের সেই ঘন গভীর জঙ্গল পার হতেই হবে এবং আমার চলার পথ শেষ নেই। মাইলের পর মাইল আমাকে যেতে হবে। আমাকে ক্লান্ত হলে চলবে না, ঘুমালে চলবে না। আমার অভিষ্ট লক্ষ্যে আমাকে পৌঁছাতেই হবে। আর সেই লক্ষ্যটা কি? সেই লক্ষ্যটা হল এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে এ সময় সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।