রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ৭:৫৯ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে নগরীর ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১২টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৪৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর সামনে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছেন নিজ দলের ৭৮ বিদ্রোহী প্রার্থী। প্রতিপক্ষ বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীদের খুব একটা ফ্যাক্টর মনে করছেন না আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। তাদের যত দুশ্চিন্তা নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে। দফায় দফায় চেষ্টা করেও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভোটের মাঠ থেকে সরাতে পারছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
দলীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ৯টিতে রয়েছে একক প্রার্থী। ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হচ্ছেন আওয়ামী লীগ কাউন্সিলর প্রার্থী হারুন উর রশিদ। বাকি ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের ৬১ জন বিদ্রোহী প্রার্থী ভোটের মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। ৩১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪ নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ৬ জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। আর ১৪টি সংরিক্ষত মহিলা ওয়ার্ডের মধ্যে দুটিতে রয়েছে একক প্রার্থী। বাকি ১২টি ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে ১৭ জন। অর্থাৎ ৩১টি সাধারণ ও ১২টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে দলীয় সমর্থিত ৪৩ জন প্রার্থীর বিপরীতে মোট ৭৮ জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে।
এ পর্যন্ত ৬টি ওয়ার্ডে ৭ জন বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তারা হলেন-২২ নম্বর এনায়েত বাজার ওয়ার্ডে সাব্বির চৌধুরী, ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ডে এসএম এরশাদ উল্যাহ, ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডে আবদুল মান্নান, ৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডে সাইফুল আলম চৌধুরী, ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডে এবিএম মোস্তফা কামাল ও মনির উল্লাহ এবং ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডে নুর মোস্তফা টিনু। এছাড়া ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিম দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হওয়ার কারণে দলের মনোনীত প্রার্থীকে ভোটের মাঠ ছেড়ে দিয়েছেন।
যে ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে এখন একক প্রার্থী রয়েছে সেগুলো হলো- ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে এম আশরাফুল আলম, ১৫ নম্বর বাগমনিরাম ওয়ার্ডে গিয়াস উদ্দিন, ২১ নম্বর জামাল খান ওয়ার্ডে শৈবাল দাশ সুমন, ২২ নম্বর এনায়েত বাজার ওয়ার্ডে সলিম উল্লাহ, ২৩ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডে মোহাম্মদ জাবেদ, ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ডে আব্দুস সবুর লিটন, ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডে আবদুস সালাম, ৩৫ নম্বর বক্সিরহাট ওয়ার্ডে হাজী নুরুল হক এবং ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডে জিয়াউল হক সুমন।
যে দুটি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে একক প্রার্থী রয়েছে সেগুলো হলো- ১৭,১৮, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে শাহীন আকতার রোজী এবং ২৭, ৩৭,৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে আফরোজা জহুর।
৩১ সাধারণ ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন-
১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলীতে তৌফিক আহমদ চৌধুরী, আহমদ নুর ও ইকবাল হোসেন, ২ নম্বর জালালাবাদে সাহেদ ইকবাল বাবু ও গিয়াস উদ্দীন ভূইয়া, ৩ নম্বর পাঁচলাইশে সেলিম উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, আমির হোসেন আমু, মুহাম্মদ ইকবাল ও জসিম উদ্দিন, ৪ নম্বর চান্দগাঁওতে আনিসুর রহমান, এসরারুর হক, সাইফুল্লাহ খাঁন, গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, নাছির উদ্দিন ও মো. ইউচুফ, ৫ নম্বর মোহরাতে আইয়ুব আলী চৌধুরী দুলাল, ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহরে মো. এয়াকুব ও মো. শামীম, ৮ নম্বর শুলকবহরে মোহাম্মদ মহসীন, ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলীতে জহুরুল আলম জসিম, ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলীতে মনোয়ার উল আলম চৌধুরী, ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলীতে খন্দকার এনামুল হক, মোর্শেদ আকতার চৌধুরী, নুরুল হুদ চৌধুরী ও নুরুল ইসলাম, ১২ নম্বর সরাইপাড়াতে আসলাম হোসেন ও সাবের আহম্মেদ, ১৩ পাহাড়তলীতে মাহামুদুর রহমান, ১৪ নম্বর লালখান বাজারে আবুল ফজল কবির আহমেদ মানিক, ১৬ নম্বর চকবাজারে দেলোয়ার হোসাইন, ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়ায় সোয়েব খালেদ, ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়ায় আজিজুর রহমান ও নুরুল আলম, ২০ নম্বর দেওয়ানবাজারে রফিকুল ইসলাম বাপ্পী, ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদে রাশেদুল ইসলাম, জাবেদ নজরুল ইসলাম ও রকিব উল আমীন, ২৬ নম্বর উত্তর হালিশহরে মো. ইলিয়াছ, ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদে এইচ এম সোহেল ও ইস্কান্দর মির্জা, ২৮ নম্বর পাঠানটুলীতে আবদুল কাদের, ২৯ নম্বর পশ্চিম মাদারবাড়িতে সাজ্জাদ হোসেন, ৩০ নম্বর পূর্ব মাদারবাড়িতে জহির উদ্দিন বাবর, ৩২ নম্বর আন্দরকিল্লাতে নোমান লিটন ও সুজিত সরকার, ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গিবাজারে হাসান মুরাদ বিপ্লব ও হোসাইনুর রশিদ, ৩৪ নম্বর পাথরঘাটাতে অনুপ বিশ্বাস, বিজয় কৃষ্ণ ও দিদারুল আলম, ৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙ্গাতে মোর্শেদ আলী ও সাইফুল আলম চৌধুরী, ৩৭ নম্বর উত্তর মধ্যম হালিশহরে মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ, এনামুল হক, ইবনে মবিন ফারুক ও সালাউদ্দিন আহম্মদ। ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরে হাসান মুরাদ, ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গায় ফরিদুল আলম ও নাছির আহম্মেদ এবং ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গায় আলমগীর হাছান।
১২ সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন-১,২,৩ নম্বর-ফেরদৌস বেগম মুন্নী, ৪,৫,৬-রোকেয়া বেগম, ৭,৮-নুর তাজ বেগম ও জোহরা বেগম, ৯,১০,১৩-আবিদা আজাদ ও নাদিরা সুলতানা হেলেন, ১৪,১৫,২১-নবুয়াত সিদ্দিকা রকি, ১৬,২০,৩২-আঞ্জুমান আরা বেগম, ২২,৩০,৩১-জিন্নাত সুলতানা জুমা ও আলতাজ বেগম বুবলী, ১২,২৩,২৪-গুলজার বেগম পপি ও ফারহানা জাবেদ, ১১,২৫,২৬-রাধা রাণী দেবী ও সুপ্তি তলাপাত্র, ২৮,২৯,৩৬-জিন্নাত আরা বেগম ও বিবি মরিয়ম এবং ৩৩,৩৪,৩৫ ওয়ার্ডে নন্দিতা দাশগুপ্ত।
বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে নমনীয় আওয়ামী লীগ
বিদ্রোহী দমনে কেন্দ্র থেকে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) রাতে নগরীর ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর গণসংযোগে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়। গত ৮ জানুয়ারি নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে গণসংযোগের সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পাঠানটুলী ওয়ার্ডে সহিংসতার পর সামনে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে দুপক্ষের মধ্যে মুখোমুখি সংঘাত বাধতে পারে বলে আশঙ্কা করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
নগরীর ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডে সহিংসতার পরও বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে কোনো কড়া নির্দেশনা আসেনি। তবে নগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে দলীয় কার্যালয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় বসে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের দল থেকে বহিস্কার করতে কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শাস্তির খড়গ মাথায় রেখেই নির্বাচনের মাঠে থাকার বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। নির্বাচনের বাকী আর মাত্র ১২ দিন। এ অবস্থায় বিদ্রোহীদের দমাতে বহিস্কার করা ছাড়া আওয়ামী লীগের হাতে আর কোনো অস্ত্র নেই। কিন্তু দল থেকে বহিস্কারের পরও নাছোড়বান্দা বিদ্রোহী প্রার্থীরা ভোটের মাঠ ছাড়বেন না বলে দলীয় মহল থেকে জানা গেছে।
৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হাসান মুরাদ বিপ্লব রাজনীতি সংবাদকে বলেন, পেছনে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে মানুষ আমাকে প্রতারক বলবে।
প্রশ্নর জবাবে এ যুবলীগ নেতা বলেন, নগর যুবলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি থেকে কেন্দ্র আমাকে কীভাবে বহিস্কার করবে? আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবো কিনা সেটা এখন ভেবে দেখার বিষয়।
২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ডের বিদ্রোহী প্রার্থী সাহেদ ইকবাল বাবু রাজনীতি সংবাদকে বলেন, আমি দলের বিভিন্ন ইউনিটের ৬টি পদে দায়িত্বে আছি। আমাকে কোন পদ থেকে বহিস্কার করবে ? আর আমি তো স্বতন্ত্র প্রার্থী। বহিস্কার করলেও নির্বাচনে থাকবো।
৭,৮ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জোহরা বেগম বলেন, কেন্দ্র থেকে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তাই আমি বিদ্রোহী প্রার্থী নয়। নগর আওয়ামী লীগ যাকে প্রার্থী করেছে তিনিই বিদ্রোহী প্রার্থী। কেন্দ্র মনোনয়ন বাতিল করলে আমাকে নোটিস দিয়ে জানাবে।
নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী রাজনীতি সংবাদকে বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীরা বহিস্কার হলে তাদের আর দলীয় পরিচয় থাকবে না। এতে তারা ভোটের মাঠে বেকায়দায় পড়বেন। কেননা ভোটের মাঠে প্রার্থীর সাংগঠনিক পরিচয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বিদ্রোহীদের কারণে ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। তাদের কেউ কেউ হারার শঙ্কায় রয়েছেন। এ অবস্থায় গত ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৪৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী জোটবদ্ধ হয়ে দলের চসিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের কাছে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেন। পরে তারা নগর আওয়ামী লীগের কাছে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে দলের অবস্থান জানতে চান।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা কি বিদ্রোহী প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ মনে করেন ?
৪ নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাইফুদ্দিন খালেদ রাজনীতি সংবাদকে বলেন, আমার ওয়ার্ডে ৬ জন বিদ্রোহী। তারা ছয় দিক থেকে আমার ভোট কাটবে। এসব বিদ্রোহী প্রার্থীরা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. সালাহ উদ্দিন রাজনীতি সংবাদকে বলেন, বিদ্রোহীদের দলীয় পরিচয় আছে। ফলে দলীয় নেতাকর্মীদের ভোটের একটা অংশ তো তাদের দিকে যাবে। ফলে ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাবে। আর এতে সুবিধাটা নেবে বিএনপি প্রার্থী।
১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী রাজনীতি সংবাদকে বলেন, নগরীতে আওয়ামী লীগ দুই ভাগে বিভক্ত। বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাথে দলের একটি পক্ষের বলয়ের নেতাকর্মীরা রয়েছে। কাজেই ভোটে এর প্রভাব পড়বে।
২২, ৩০,৩১ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ প্রার্থী নীলু নাগ বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে বিদ্রোহীদের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমরা খুব অস্বস্তিতে আছি।
৭,৮ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ প্রার্থী জেসমিন পারভীন জেসি রাজনীতি সংবাদকে বলেন, বিএনপির প্রার্থী নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যাথা নেই। যত দুশ্চিন্তা দুজন বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে। বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।