রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩ জানুয়ারি, ২০২১ ৮:৩৭ : অপরাহ্ণ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের আগে সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও গণঅনশন করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আব্দুল কাদের মির্জাসহ নেতাকর্মীরা। পরে ওবায়দুল কাদেরসহ জেলার জ্যেষ্ঠ নেতাদের আশ্বাসে আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন তারা। আব্দুল কাদের মির্জা বসুরহাট পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী।
নেতাকর্মীদের দাবি, জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম, পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা রবিউল হককে প্রত্যাহার, অস্ত্র উদ্ধার ও জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি সংশোধন করে পুনরায় ঘোষণা করতে হবে।
এসব দাবিতে আচরণবিধি প্রতিপালন বিষয়ক সভায় ক্ষুব্ধ হয়ে বেরিয়ে গিয়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার আওয়ামী লীগের দলীয় মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকরা আজ বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত একটানা সাত ঘণ্টা বিক্ষোভ সমাবেশ, ঝাড়ু মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় বাজারে দোকানপাট বন্ধ করে দিয়ে রাস্তায় টায়ারে আগুন জালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে আবদুল কাদের মির্জা নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী, তার স্ত্রী কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শিউলী একরাম, তাদের ছেলে সাবাব চৌধুরী, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম হাজারী এমপি, ফেনী পৌরসভার মেয়র প্রার্থী স্বপন মিয়াজী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, তার ভাগ্নে স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, পদচ্যুত এবং বরখাস্ত করা ছাড়া বঙ্গবন্ধু চত্বরে অবস্থান ছাড়বেন না বলে মাইকে ঘোষণা করেন।
এরপর বাজারের জিরো পয়েন্টে বঙ্গবন্ধু চত্বর এলাকায় আব্দুল কাদের মির্জাসহ নেতাকর্মীরা গণঅনশন শুরু করেন। এরপর বাজারের জিরো পয়েন্টের বঙ্গবন্ধু চত্বরসহ চারদিকে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনশন চলা অবস্থায় আব্দুল কাদের মির্জা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়।
আগামী ১৬ জানুয়ারি বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য আজ সকাল ১০টার দিকে উপজেলা হল রুমে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম, পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠকের একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল কাদের মির্জাকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) খোরশেদ আলম শালীন ভাষায় ও নির্বাচনী আচরণবিধি মোতাবেক বক্তব্য দিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু ডিসির এ কথায় আব্দুল কাদের মির্জা উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং তাকে বক্তব্য শেখাতে হবে না বলে ডিসিকে বলেন। এ সময় তাদের দুজনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে হট্টগোল দেখা দেয়।