ভোট চলাকালীন খুলনার চালনা পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো. আবুল খায়ের খান মারা গেছেন। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আবুল খয়ের খান গত ২৩ ডিসেম্বর প্রথমে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে ২৫ ডিসেম্বর সেখান থেকে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে সোমবার দুপুর পৌনে ২টায় সংবাদ সম্মেলন করে ভোটে অনিয়ম ও ভোটচুরির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আব্দুল মান্নান খান।
তিনি জানান, সাধারণ ভোটারদের ভোট জোরপূর্বক ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের প্রতীকে দিয়ে দেয়া ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের সহায়তায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় বিএনপি। সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণের পর থেকে চালনা পৌরসভার বিভিন্ন কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলছিল বিএনপি নেতাকর্মীরা।
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৮টায় চালনা পৌরসভায় ভোটদান শুরু হয়। এই পৌরসভায় ১২ হাজার ১০০জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৮৬৩ ও নারী ৬ হাজার ২৩৭জন ভোটার রয়েছেন। চালনা পৌরসভায় নয়টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়।
এ নির্বাচনে চালনা পৌরসভায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী আবুল খয়ের খান ছাড়া অন্য তিন মেয়র প্রার্থী হলেন-আওয়ামী লীগের সনৎ কুমার বিশ্বাস, স্বতন্ত্র প্রার্থী অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল ও গৌতম কুমার রায়।
জানা গেছে, ২০০৪ সালের নভেম্বরে চালনা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই সময়ে বিএনপির মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মো. আবুল খয়ের খান পৌর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালের নির্বাচনে অচিন্ত্য কুমার মণ্ডলের কাছে পরাজিত হন বর্তমান মেয়র সনৎ কুমার বিশ্বাস। ২০১৫ সালের নির্বাচনে সনৎ বিশ্বাস আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে বিজয়ী হন।
চালনা পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১২ হাজার ১০০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার পাঁচ হাজার ৮৬৩ ও নারী ভোটার ছয় হাজার ২৩৭ জন।
খুলনার চালনাসহ দেশের ২৪ পৌরসভায় আজ ভোটগ্রহণ করা হয়। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এই ভোটগ্রহণ করা হয়।