রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ৩:৫৭ : অপরাহ্ণ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় দীর্ঘ আট মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হলেন ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল। আজ শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১ টার দিকে তিনি কেরানীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। এ সময় কারাফটকে পরিবারের সদস্যসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। ওই সময় ছেলে মনোরম পলকসহ অন্য স্বজনদের জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন সাংবাদিক কাজল। আনন্দ অশ্রু ঝরতে থাকে বাবা ও ছেলের চোখে। এমন চিত্র দেখে উপস্থিত লোকজনের চোখেও অশ্রু টলমল করে, কেউ কেউ কেঁদে ফেলেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বাসায় ফেরেন তিনি।
গত ১৭ই ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ দুই মামলায় কাজলের জামিনের আদেশ দেন।
মাগুরা-১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর গত ৯ মার্চ রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় কাজল, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। মামলায় বানোয়াট তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন তৈরি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। পরদিন কাজল নিখোঁজ হন। ১০ ও ১১ মার্চ হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় আরও দুটি মামলা দায়ের হয়।
গত ১০ মার্চ শফিকুল ইসলাম তাঁর বকশিবাজারের বাসা থেকে দৈনিক পক্ষকাল কার্যালয়ের উদ্দেশে বের হন। তিনি হাতিরপুলের মেহের টাওয়ারের কার্যালয়ে পৌঁছান বিকেল সোয়া চারটার দিকে। পৌনে সাতটা থেকে তার আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসী পরদিন চকবাজার থানায় নিখোঁজ হওয়ার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে ১৮ মার্চ রাতে কাজলকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ এনে চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক।
ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ফটো সাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক দেখায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।