রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন
প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর ২০২০, ৭:৫৮ অপরাহ্ণ
দেশে তৈরি আরো একটি নতুন মডেলের সেডান কার বাজারে নিয়ে এলো পিএইচপি অটোমোবাইলস। ‘প্রোটন নিউ সাগা এমসি ২০২১’ মডেলের ১৩৩২ সিসির চার দরজার এই গাড়িটি গত বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেঁজগাও পিএইচপি অটোমোবাইলসের শোরুমে উদ্বোধন করা হয়।
সরকারী উদ্যোগে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড দেশে জিপ, বাস ও ট্রাক তৈরি করলেও সেডান কার প্রথমবারের মতো তৈরি করেছে শীর্ষ স্থানীয় শিল্প গ্রুপ পিএইচপি ফ্যামিলি। প্রতিষ্ঠানটির গাড়ি সংযোজন কারখানাটি চট্টগ্রামের সাগরিকায়।
২০১৫ সালে দেশে প্রথমবারের মতো সেডান কার বা চার দরজার কার সংযোজনের ঘোষণা দিয়েছিল পিএইচপি ফ্যামিলি। দুই বছরের মাথায় প্রথম ‘প্রোটন প্রিভে’ মডেলের গাড়ি বাজারজাত শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর ‘প্রোটন সাগা’ নামের দ্বিতীয় মডেলের গাড়ি বাজারে নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। সর্বশেষ ‘প্রোটন নিউ সাগা এমসি ২০২১’ নামের তৃতীয় মডেলের গাড়ি বাজারে নিয়ে এলো পিএইচপি অটোমোবাইলস। পাঁচ বছরের মধ্যে তিনটি মডেলের ব্র্যান্ড নিউ সেডান কার বাজারজাত করলো বৃহৎ এ শিল্প প্রতিষ্ঠানটি।
পিএইচপি অটোমোবাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আক্তার পারভেজ রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘প্রোটন তৃতীয় মডেলের ১৩৩২ সিসির এ গাড়িতে আনা হয়েছে নতুনত্ব। গ্রিন, বাম্পার, ইন্টেরিয়র, গিয়ার বক্স, কুশনসহ ইঞ্জিনে আনা হয়েছে পরিবর্তন। এটি পাঁচ বছরের পুরনো রিকন্ডিশনড গাড়ির থেকেও উন্নত।’
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ বেশিরভাগই রিকন্ডিশনড গাড়ি কিনে থাকেন। সেসব গাড়ির দাম পিএইচপির এই ব্রান্ড নিউ গাড়ির চাইতে বেশি পড়ে। আশা করছি, রিকন্ডিশনড গাড়ির চেয়ে কম দামের ব্র্যান্ড নিউ সেডান কার দেশের বাজারে পরিবর্তন ঘটাবে। তবে মানুষকে দেশের তৈরি গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে আগ্রহ থাকতে হবে। তাতে দেশের অর্থনীতির ভিত্তি আরও মজবুত হবে।’
উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান পিএইচপি অটোমোবাইলসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘প্রোটন নিউ সাগা এমসি ২০২১’ মডেলের গাড়ির মূল্য বিদেশ থেকে আমদানি করা পাঁচ বছরের পুরনো বা রিকন্ডিশনড গাড়ির তুলনায় অনেক কম। জ্বালানি খরচের দিক থেকেও এই গাড়ি তুলনামূলক সাশ্রয়ী হবে। ব্র্যান্ড নিউ এই সেডান কারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ১৮ লাখ টাকা। ইএমআইতে (সমান মাসিক কিস্তি) সাড়ে ৫ লাখ টাকা ডাউন পেমেন্ট করে বাকি টাকা ৩৬ কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। এই গাড়ি দেশে সংযোজনের কারণে ক্রেতাদের সাড়ে তিন লাখ টাকার মতো সাশ্রয় হবে। আবার পাঁচ বছরের নিশ্চয়তা (ওয়ারেন্টি) ও দেড় লাখ কিলোমিটারের বিক্রয়োত্তর সেবা রয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৪ থেকে ১৫ হাজার গাড়ি আমদানি হয়ে থাকে, যার প্রায় ৭০ শতাংশই সেডান কার। যার মধ্যে ৯০ শতাংশই পুরোনো। এর বেশিরভাগই আমদানি হয় জাপান থেকে। এছাড়া ভারত থেকে অনেক গাড়ি আমদানি হয়ে থাকে। এতে দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাও চলে যায়। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও সড়ক উন্নয়নের পাশাপাশি গাড়ির চাহিদাও বাড়ছে। এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই মালয়েশিয়ার বিশ্বখ্যাত গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ‘প্রোটন’-এর সঙ্গে যৌথ ব্যবস্থাপনায় দেশে সেডান কার তৈরির যন্ত্রপাতি ও মেশিনারীজ সংযোজনের উদ্যোগ নেয় পিএইচপি ফ্যামিলি।