হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক এবং ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘মামলা প্রত্যাহার করুন। তা না হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন না।’
আজ (৮ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হংকার দেন। এ সময় চরমোনাই পীর এ মামলার বাদীদের গ্রেপ্তার করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করীমসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ফয়জুল করীম হলেন চরমোনাই পীর ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি রেজাউল করীমের ছোট ভাই।
চরমোনাই পীর রেজাউল করীম বলেন, বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের ষড়যন্ত্র করছে নাস্তিকরা। বঙ্গবন্ধু ধার্মিক ছিলেন। তার পরিবারও ধার্মিক, এমনকি ওনার পূর্বপুরুষরাও ধার্মিক ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কখনোই ভাস্কর্যের পক্ষে ছিলেন না। আর সেজন্যই নাস্তিকরা ওনার ভাস্কর্য নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, উলামায়ে কেরামের দাবির মধ্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতি কোন বিদ্বেষ ছিলো না, অসম্মানও ছিলো না। বরং বিষয়টি ছিলো দেশের জনগণের বোধ বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক মূর্তি স্থাপন না করে অন্য কোন পন্থায় তাকে স্মরণ করার দাবি। আলেমসমাজ ও সাধারণ মুসলিম ধর্মপপ্রাণ জনগণ এ ক্ষেত্রে সরকারের কাছে নিজেদের প্রাণের আকুতি তুলে ধরতেই পারে। মানা না মানা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।
চরমোনাই পীর রেজাউল করীম বলেন, ‘সরকার নির্বাচনের আগে জাতির সামনে অঙ্গীকার করেছিল মদিনা সনদ অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করবে এবং ইসলামি নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কোনো কার্যকলাপ গ্রহণ করবে না। কিন্তু ক্ষমতায় এসে সরকার ইসলামবিদ্বেষী কাজ করছে। মূর্তি ও ভাস্কর্য এক ও অভিন্ন। আমরা দুটিরই বিরোধী।’
কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনার পর গতকাল সোমবার ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক এবং ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এ মামলার অভিযোগ তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।