খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্দী করে রাখা হয়েছিল-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দেয়নি, সাজাও দেয়নি। মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর সাজা দিয়েছে আদালত। শেখ হাসিনাই বেগম জিয়ার প্রতি সদয় হয়ে দুইবার সাজা স্থগিত করেছেন। বিএনপি এমন একটা দল যাদের নূন্যতম কৃতজ্ঞতাবোধ নেই। জেনে শুনে ও বুঝে মিথ্যাচার করা তাদের স্বভাব।
আজ (২ ডিসেম্বর) বুধবার সকালে তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে চারলেনের দ্বিতীয় নয়ারহাট সেতু নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
‘মানুষ ভয়াবহ দুঃসময় অতিক্রম করছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেবের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, করোনা, বন্যা, সুপারসাইক্লোন, আম্ফানের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি কি ভূমিকা পালন করেছে, জাতি তা জানতে চায়? বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে গণমাধ্যম ও ফেসবুকে কথামালার বৃষ্টি ঝরিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি দলগতভাবে হত্যা আর ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাসী বলেই তারা নিজ দলে অপরাধীদের লালন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি সুবিধাবাদ জিন্দাবাদে বিশ্বাস করে বলেই দুর্নীতিবাজদের দলে প্রশ্রয় দেয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মহামারীর প্রভাবে গোটা বিশ্ব যখন টালমাটাল তখন জীবন- জীবিকার চাকা সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দূরদর্শিতা দেখিয়েছেন, তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। অথচ জনগণের এই দুঃসময়ে বিএনপি কোনো ভূমিকা না রেখে শুধু বক্তৃতা-বিবৃতিতেই নিজেদের দায়িত্ব শেষ করেছে। সরকারের কোন ভালো কাজ বিএনপি প্রশংসা না করে উল্টো অন্ধ সমালোচনা করে যাচ্ছে। তারা আসলে দেশের আরও দুঃসময় ও জনগণের করুণ অবস্থা প্রত্যাশা করেছিল।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ভেবেছিল মানুষ না খেয়ে, চিকিৎসা না পেয়ে রাস্তায় মরে থাকবে। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে এবং মানবিকনেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে সেই পরিস্থিতি হয়নি বলেই বিএনপি নেতাদের মনে কষ্ট ও জ্বালা ধরেছে। এই জন্যই তারা সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে দেশ ও জনগণের বিরোধিতায় নেমেছে। বিএনপির আন্দোলনের ডাক এখন আষাঢ়ের তর্জন-গর্জনই সার।
ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এসময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শাহরিয়ার আলম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খানসহ সংশ্লিষ্টরা।