মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ | ১০ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৩ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা আন্তর্জাতিক

শীর্ষ নির্বাচনী কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৮ নভেম্বর, ২০২০ ১০:৪৮ : পূর্বাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কারচুপি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতের বিরোধিতা করায় শীর্ষ একজন নির্বাচনী কর্মকর্তাকে বরাখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে ‘অত্যন্ত ভুল’ মন্তব্য করার জন্য তিনি সাইবার সিকিউরিটি এবং ইনফ্রাসট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি (সিসা) প্রধান ক্রিস ক্রেবসকে বরখাস্ত করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হারলেও পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মি. ট্রাম্প এবং কোনরকম তথ্য প্রমাণ ছাড়াই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন।

তবে এই নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে সুরক্ষিত’ নির্বাচন হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী কর্মকর্তারা।

মি. ক্রেবস সম্প্রতি হোয়াইট হাউজের অসন্তুষ্টির কারণ হয়ে উঠেছিলেন, কারণ সিসা’র একটি ওয়েবসাইট ছিল রিউমার কন্ট্রোল বা গুজব নিয়ন্ত্রণ নামে, যেখানে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য খণ্ডন করা হতো। তার বেশিরভাগ প্রভাব পড়েছে স্বয়ং প্রেসিডেন্টের ওপরেই।

গত সপ্তাহেই পদত্যাগ করেছিলেন সিসা’র সহকারী পরিচালক ব্রায়ান ওয়ার। হোয়াইট হাউজ থেকে তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল।

তবে বরখাস্ত হলেও এ নিয়ে কোন আক্ষেপ দেখা যায়নি মি. ক্রেবসের বক্তব্যে।

বরখাস্ত হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মি. ক্রেবস যে টুইট করেছেন, সেখানে বরং তিনি মি. ট্রাম্পের একটি অভিযোগ খণ্ডন করেছেন, যেখানে মি. ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে, অনেকগুলো রাজ্যে তার ভোট জো বাইডেনের নামে পাল্টে দিয়েছে।

মি. ক্রেবস টুইটারে বলছেন, ”নির্বাচনী পদ্ধতি জালিয়াতির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ৫৯ জন নির্বাচনী নিরাপত্তা কর্মকর্তা একমত হয়েছেন যে, আমাদের জানা মতে কোন ঘটনাতেই এরকম অভিযোগের ভিত্তি নেই এবং প্রযুক্তিগতভাবেও সেটা সম্ভব নয়।”

যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দপ্তর হোমল্যান্ড সিকিউরিটির গুটিকয় শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনি একজন, গত সপ্তাহে যারা ঘোষণা করেছেন যে, তেসরা নভেম্বরের নির্বাচনটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সুরক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সিসা’র ওয়েবসাইটে দেয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ”যদিও আমরা জানি যে, প্রমাণ ছাড়াই অনেক অভিযোগ ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানোর সুযোগ আছে, তবে আমরা নিশ্চিত করে বলছি, নির্বাচনের নিরাপত্তা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে আমাদের পুরো আস্থা রয়েছে, আপনাদেরও সেটা রাখা উচিত।” যদিও এই বিবৃতিতে কোথাও মি. ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

নির্বাচনের একজন আইনি বিশেষজ্ঞের একটি টুইটের পাল্টা জবাব দিয়ে তিনি টুইটারে লিখেছিলেন, ”দয়া করে এমন সব টুইট শেয়ার করবেন না যেখানে ভোটিং মেশিন নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ রয়েছে, সেটা প্রেসিডেন্টের হলেও।”

খবর: বিবিসি

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর