রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি ছিল। শীতে করোনা পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলমান এ ছুটি বাড়ানো হলো।
বাংলাদেশে করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কওমি মাদ্রাসা বাদে অন্যসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা ছিল। সেই সময় শেষ হওয়ার দুদিন আগে আরও এক দফা ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা এল।
সর্বশেষ ছুটির ঘোষণার সময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন, আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তাভাবনা চলছে। সেটিও নির্ভর করছে পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর। তবে আজকের ছুটির ঘোষণার বিজ্ঞপ্তিতে সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে ১৪ নভেম্বরের পর সীমিত পরিসরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হতে বলে আভাস দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
করোনা মহামারির কারণে এ বছর প্রাথমিক সমাপনী, অষ্টমের সমাপনী ছাড়াও এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হলেও অন্যান্য শ্রেণিগুলোয় পরীক্ষা ছাড়া পরবর্তী ক্লাসে তুলে দেওয়া হবে। তবে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। করোনার বাস্তবতায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা অত্যন্ত ঝুঁকিতে পড়েছে। এ কারণে ইতিমধ্যে এ বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। একই কারণে এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষাও হচ্ছে না। এ ছাড়া মাধ্যমিক স্তরের বার্ষিক পরীক্ষাও না নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এবার পরীক্ষা ছাড়াই সব শিক্ষার্থী ওপরের ক্লাসে উঠবে।