প্রকাশের সময় :৩০ মে, ২০২১ ১০:০১ : অপরাহ্ণ
বর্তমান সময়ে ২২ গজের যুদ্ধে ক্রিকেট উন্মাদনার চেয়ে অর্থই যেনো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি, আইপিএল, বিপিএল কিংবা বিগ ব্যাশ থেকে প্রচুর অর্থ আয় করছেন ক্রিকেটাররা। তবে ক্রিকেট থেকে আয়কৃত অর্থের পরিমাণ বিজ্ঞাপন থেকে আয়কৃত অর্থের তুলনায় কোনো অংশে কম নয়।
বর্তমানে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বেতনভাতা, জীবনযাত্রার মান কিংবা খেলার ধরনেও বেশ পরিবর্তন এসেছে। এছাড়া জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক এবং ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনি ১০ শীর্ষ বাংলাদেশি ধনী খেলোয়াড়ের কথা জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা ইউএনবি। যা তুলে ধরা হয়েছে।
সাকিব আল হাসান
২০২১ সালে বাংলাদেশের এক নম্বর ধনী ক্রিকেটার হলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ৪০ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৩৯ কোটি টাকা। ক্রিকেট ছাড়াও বিভিন্ন ব্র্যান্ড, ফ্র্যাঞ্জাইজি লিগ ও ব্যক্তিগত ব্যবসা থেকে এই আয় করেছেন তিনি।
তামিম ইকবাল
ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ২৩তম স্থানে থাকা তামিম ইকবাল এই তালিকায় রয়েছেন দুই নম্বরে। ২০২১ সালে পর্যন্ত তাঁর মোট আয় আনুমানিক ৩০ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫৪ কোটি
টাকার মতো। জাতীয় দলের বাইরে বিভিন্ন লিগ, বিজ্ঞাপন ও ব্যক্তিগত ব্যবসা থেকে এই আয় করেছেন তিনি।
মুশফিকুর রহিম
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বিভিন্ন প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে নিজেকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন মুশফিক। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ২১ নম্বরে থাকা মুশফিকের আয় আনুমানিক ২৫ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ২১২ কোটি টাকার মতো। তার মূল আয় মূলত জাতীয় দল থেকে। ঘরোয়া বিভিন্ন আসরেও খেলে থাকেন তিনি।
মুস্তাফিজুর রহমান
২০১৫ সালে অভিষেক হওয়া মুস্তাফিজুর রহমান তাঁর ভিন্নধর্মী বোলিং স্টাইলের জন্য বিশ্ব ক্রিকেটে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। ওয়ানডে বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে ১৭ নম্বের থাকা এই বোলারের আয় আনুমানিক ১৩ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১০ কোটি টাকা) মতো।
তাসকিন আহমেদ
তরুণ বয়সেই জনপ্রিয়তা পাওয়া তাসকিন আহমেদের আয় আনুমানিক ৫ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪২ কোটি
টাকা। জাতীয় দল, বিভিন্ন লিগ, বিজ্ঞাপন ও ব্যক্তিগত ব্যবসা থেকে এই আয় করেছেন তিনি।
মাহমুদউল্লাহ
মাহমুদুল্লার মোট আয় আনুমানিক তিন মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫ কোটি টাকার মতো। বিভিন্ন ম্যাচ ফি, বোনাস ও বিজ্ঞাপন থেকে এই অর্থ আয় করেছেন তিনি।
মাশরাফি বিন মর্তুজা
বাংলাদেশ দলের সাবেক সবচয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এই তালিকায় আছেন সাত নম্বরে। বাংলাদেশি মুদ্রায় আনুমানিক ১৩ কোটি টাকা। বিভিন্ন ব্রান্ডের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত আছেন তিনি।
মোহাম্মদ আশরাফুল
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পর তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে যাচ্ছেন। তাঁর আনুমানিক আয় ১১ কোটি টাকা। বিভিন্ন লিগ, বিজ্ঞাপন ও ব্যবসা এই আয় করেছেন তিনি।
আব্দুর রাজ্জাক
সাবেক বাহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জক বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বোলার। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আইপিএলে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর আয় আনুমানিক ৮৪ লাখ টাকা।
সৌম্য সরকার
২০১৪ সালে জাতীয় দলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে ক্যারিয়ার শুরু করা সৌম্য সরকারের আয় প্রায় ৮৪ লাখ টাকা।
যদিও বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের আয় বৃদ্ধি পেয়ছে তবে বৈশ্বিক খেলোয়াড়দের আয় হিসেবে এটা খুব নগণ্য।