প্রকাশের সময় :৯ অক্টোবর, ২০২২ ৪:০১ : অপরাহ্ণ
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে চট্টগ্রাম জুলুসের নগরীতে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রামে ঐতিহাসিক জশনে জুলুসে (বর্ণাঢ্য র্যালি) মানুষের ঢল নেমেছে। পাকিস্তানের ছিরিকোট দরবার শরীফের পীর আধ্যাত্নিক সুফি সাধক সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ’র নেতৃত্বে এই জুলুসে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ থেকে এই জুলুস শুরু হয়।
অরাজনৈতিক সংগঠন আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট এই জুলুসের আয়োজন করে।
জুলুসে বিশেষভাবে নির্মিত গাড়িতে সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ’র সঙ্গে ছিলেন তার ছোট ভাই পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ ও ছেলে আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ।
এছাড়া আরও ছিলেন আনজুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান প্রমুখ।
লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে এই জুলুস নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে দুপুর দেড়টার দিকে আবারও জামেয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
জুলুস শেষে দুপুরে জামেয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জোহরের নামাজ শেষে দোয়া ও আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ রবিউল আউয়াল-এ আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় এই জুলুস অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত এ জুলুসে নেতৃত্ব দেন পাকিস্তানের ছিরিকোট দরবার শরীফের পীর সৈয়দ মোহাম্মদ তৈয়ব শাহ (রা.)। সৈয়দ মোহাম্মদ তৈয়ব শাহের মৃত্যুর পর ১৯৮৬ সাল থেকে তার সন্তান সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ এ জুলুসে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
আরও পড়ুন: গিনেস বুকে স্বীকৃতি চায় চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জুলুস