প্রকাশের সময় :২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৬:৩০ : অপরাহ্ণ
এই রাইফেলের নাম ‘জেপার্ড জিএম ৬ লিঙ্কস’। কাগজ-পত্রে জেপার্ড রাইফেল গোত্রেরই অস্ত্র। তবে নিজগুণে সে কামানের পর্যায়ে উঠেছে।
কামানের মতোই এক আঘাতে দূরের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে পারে জেপার্ড। তফাৎ একটাই, কামানে গোলা ব্যবহৃত হয়। আর জেপার্ড ব্যবহার করে গুলি।
জেপার্ডের ইতিহাস বলছে, সে আকাশ থেকে চলন্ত হেলিকপ্টারকে টেনে নামাতে পারে, ধ্বংসও করতে পারে। একটি গুলির আঘাতেই বুলেটপ্রুফ গাড়ি উড়িয়ে দিতে পারে। পুরোটাই জোপার্ডের ট্রিগারের উপর সামান্য চাপের খেলা।
বিশেষ এই গুণের জন্যই হাউইৎজার কামানের সঙ্গে জেপার্ডের তুলনা করা হয়। হাউইৎজার হলো, শক্তিশালী কামানের আধুনিক আর ছোট সংস্করণ। আকাশে উড়ন্ত বস্তুকে ঘায়েল করতে এই ছোট কামানের জুড়ি নেই।
জেপার্ডও এ ব্যাপারে হাউইৎজারের মতোই মায়া-দয়াহীন। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, ‘ছোট হলেও বিষফোঁড়া’। জেপার্ডও শত্রুপক্ষের কাছে বিষফোঁড়ার মতোই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠতে পারে।
জেপার্ডের ওজন সাকুল্যে সাড়ে ১১ কেজি। এই ওজনের বাজার কিংবা মুদির দোকানের থলি রোজ সকালে বয়ে নিয়ে বাড়ি ঢোকে আম বাঙালি। এবার ভাবুন, একজন যোদ্ধার হাতে এমন একটি অস্ত্র কতটা সহজে বহনযোগ্য আর একই সঙ্গে ধ্বংসাত্মক হতে পারে!
অস্ত্রবিদরা বলছেন, জেপার্ড নিয়ে একজন যোদ্ধা অনায়াসে যুদ্ধক্ষেত্রে প্যারাশ্যুটে অবতরণ করতে পারেন। আর নির্ভুল লক্ষ্যভেদে উড়িয়ে দিতে পারেন পর পর নিশানা।
একটি জেপার্ড রাইফেলে পাঁচ রাউন্ড গুলি থাকে। এই পাঁচ রাউন্ড গুলি যে কোনও লক্ষ্যে পর পর আঘাত করে তাকে শেষ করে দিতে সময় নেয় মাত্র তিন সেকেন্ড।
পয়েন্ট ৫০ ক্যালিবারের এই গুলির নাম ‘রফোস এমকে ২ বুলেট’। যা নিজের থেকে দুই কিলোমিটার দূরে থাকা লক্ষ্যে নিখুঁত আঘাত করতে পারে।
এমন শক্তিশালী ১৫০টি রাইফেল কিছু দিন আগেই ব্রিটেনের সেনাবাহিনী কিনেছে বলে খবর। আন্তর্জাতিক গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জেপার্ড কিনেছে ব্রিটেনের স্পেশাল এয়ার সার্ভিস, স্পেশাল বোট সার্ভিস এবং স্পেশাল রেকনাইস্যান্স রেজিমেন্ট।
এক একটি জেপার্ড রাইফেলের দাম ৯০ পাউন্ড (প্রায় ১ কোটি ৫ লাখ টাকা)
উল্লেখ্য, হাঙ্গেরিতে প্রথম তৈরি এই জেপার্ড রাইফেল এতো দিন ব্যবহার করতো ছয়টি দেশ-ভারত, কানাডা, হাঙ্গেরি, মালি, তুরস্ক এবং রোমানিয়া। এবার সেই তালিকায় ব্রিটেনের নামও যুক্ত হলো।
আনন্দবাজার পত্রিকা অবলম্বনে (ঈষৎ সংক্ষেপিত)