প্রকাশের সময় :২১ জুন, ২০২২ ১১:৫৬ : পূর্বাহ্ণ
সাদা-কালো ডোরাকাটা ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় গরুটি হাঁটে হেলেদুলে। বিশাল দেহের অধিকারী তবে বেশ শান্তশিষ্ট। তিনবেলা ১৭ থেকে ১৮ কেজি স্বাভাবিক সুষম খাবারের পাশাপাশি নাস্তা হিসেবে আপেল, কলা, আঙুরসহ বিভিন্ন ফলমূল তার খুব পছন্দ।
নাম তার ‘স্বপ্নরাজ’। আর তাকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছেন খামারী মোজাম্মেল হক বাবু দম্পতি।
পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বাঘইল মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত শহীদ আলী ফকিরের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক বাবুর খামারে রয়েছে এই ষাঁড় গরুটি। ভালোবেসে নাম রেখেছেন ‘স্বপ্নরাজ’। চার বছর ধরে লালন পালন করছেন তিনি।
খামারী বাবুর দাবি, ছয় দাঁতওয়ালা গরুটির ওজন আনুমানিক ৩৬ মণ। গরুটি বিক্রির জন্য তিনি দাম হাঁকছেন ২০ লাখ টাকা। গরুটি দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন অনেকেই।
বাবু জানান, গত বছর কোরবানির আগে স্বপ্নরাজের ওজন ছিল ২২/২৩ মণ। তখন দাম উঠেছিল ৬ লাখ টাকা। কিন্তু ওই দামে বিক্রি করেননি তিনি। তবে, এবার স্বপ্নরাজকে বিক্রির মাধ্যমে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে চান।
তিনি জানান, স্বপ্নরাজকে লালন পালনে মোটাতাজা করতে তিনি কোনো মেডিসিন বা ইনজেকশন ব্যবহার করেননি। তিনবেলা সুষম খাবার দিয়েছেন। প্রতিদিন ১৭-১৮ কেজি খাবার খায় স্বপ্নরাজ। খাবারের তালিকায় রয়েছে ভুট্টা, ছোলা, যব, খেসাড়ি ডাল, ডাবরী, ধইঞ্চা, মসুর ডাল। এসব খাবারের পাশপাশি তিনবেলা কলা, আপেল, আঙুর সহ নানারকম ফলমুল খুব পছন্দ স্বপ্নরাজের।
মোজাম্মেল হক বাবুর স্ত্রী আঞ্জুয়ারা খাতুন বলেন, ‘চার বছর ধরে স্বপ্নরাজকে নিজের সন্তানের মতো লালন পালন করেছি। মানুষ সন্তানকে যেমন আগলে রাখে, আমিও তেমনভাবে আগলে রেখেছি। নিজের হাতে খাইয়েছি, যত্ন করেছি। এখন বিক্রি করে দিতে হবে শুনে সন্তান হারানোর মতো কষ্ট পাচ্ছি।’