জাপানে বিশেষ প্রজাতির একটি আমের মূল্য হচ্ছে ২৩০ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪ হাজার টাকার বেশি। দেশটির হোক্কাইডো দ্বীপে এ আম চাষ করছেন হিরোউকি নাকাগাওয়া নামে এক কৃষক।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সাল থেকে এক বিচিত্র কৌশলে ওই আম চাষ করছেন ওই কৃষক।
কৌশল জানিয়ে কৃষক হিরোউকি নাকাগাওয়া জানান, তিনি আগে জ্বালানি তেলের ব্যবসা করতেন। তবে তেলের দাম বাড়তে থাকায় অন্য পেশায় নামার কথা ভাবছিলেন। এমন সময় মিয়াজাকি অঞ্চলের এক আমচাষির সঙ্গে পরিচয় হয় তার। ওই ব্যক্তি দাবি করেন, শীতের মধ্যেও আম ফলানো সম্ভব। তার নির্দেশনায় গ্রিনহাউস পদ্ধতিতে আম চাষ শুরু করেন নাকাগাওয়া।
আম চাষে হোক্কাইডো দ্বীপের দুটি প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করছেন নাকাগাওয়া। একটি তুষার, অপরটি গরম পানি। শীতকালে সংরক্ষণ করে রাখা তুষার গ্রীষ্মকালে গ্রিনহাউস ঠান্ডা করতে কাজে লাগান তিনি।
আর শীতকালে গ্রিনহাউস গরম করতে ব্যবহার করেন প্রাকৃতিক গরম পানি। এভাবে প্রতি মৌসুমে প্রায় পাঁচ হাজার আম উৎপাদন করেন নাকাগাওয়া।
এ পদ্ধতিতে আমগুলো শীতকালে পাকে। এ সময় পোকামাকড়ের উপদ্রব থাকে না। তাই কীটনাশকেরও প্রয়োজন পড়ে না। আর হোক্কাইডোর বাতাসের কম আর্দ্রতার কারণে আমের গায়ে তেমন একটা দাগ পড়ে না। ফলে তেমন একটা রাসায়নিক ব্যবহার করতে হয় না।
নাকাগাওয়া বলেন, ‘হোক্কাইডোতে আমি প্রকৃতির বাইরে গিয়ে প্রাকৃতিক কিছু করতে চেয়েছিলাম।’
নাকাগাওয়ার বয়স এখন ৬২ বছর। আম চাষের উদ্যোগের নাম দিয়েছেন নোরাওয়ার্ক জাপান। এই আমের স্বত্বও তিনি নিজের করে নিয়েছেন। আর আমটির নাম দিয়েছেন ‘তুষারের মধ্যে সূর্য’।
আরও পড়ুন: একটি কলমের দাম ২৬ হাজার টাকা!