মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১২ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ২৫ শাবান, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা



রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৯:৩৫ পূর্বাহ্ণ

২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। তবে এদিন থাকবে না সরকারি ছুটি।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এ দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আজ রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাধারণ অধিশাখার উপসচিব তানিয়া আফরোজের সই করা এ-সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, সরকার প্রতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ তারিখকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ (সরকারি ছুটি ব্যতীত) হিসেবে পালনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ১১ অক্টোবর পরিপত্রের ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্তকরণের সিদ্ধান্ত নেয়।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে মর্মান্তিক নৃশংস বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তখন সকাল ৯টা ২৭ মিনিট। দরবার হলে চলমান বার্ষিক দরবারে একদল বিদ্রোহী বিডিআর সৈনিক ঢুকে পড়ে। সিপাহি মঈন নামে একজন বিডিআর সদস্য মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের বুকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে। এরপরই ঘটে যায় ইতিহাসের সেই নৃশংস ঘটনা।

বিডিআরের বিদ্রোহী সৈনিকরা সেনা কর্মকর্তাদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে তাদের পরিবারকে জিম্মি করে ফেলে। পুরো পিলখানায় এক ভীতিকর বীভত্স ঘটনার সৃষ্টি করে।

এ সময় তারা বিদ্রোহের নামে বাহিনীর তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ ছাড়া নারী ও শিশুসহ ১৭ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করা হয়।

পিলখানায় নারকীয় এই হত্যার ঘটনায় দায়ের করা হয় দুটি মামলা। এর মধ্যে সেনা কর্মকর্তাদের নিহতের ঘটনায় দণ্ডবিধি আইনে করা হয় হত্যা মামলা। অপরটি হয় বিস্ফোরক আইনে। বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলাটি ১৫ বছর ধরে সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্যে আটকে আছে।

হত্যা মামলায় নিম্ন আদালত ২০১৪ সালে ১৫২ বিডিআর জওয়ানকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় ১৬১ জনকে। সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পান আরো ২৫৬ জন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পান ২৭৮ জন। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। ২০১৭ সালে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ ১৫২ জনের মধ্যে ১৩৯ জওয়ানকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। যাবজ্জীবন দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় আরো ২০০ জনকে। খালাস পান ৪৫ জন।

আরও পড়ুন:

সেদিন পিলখানায় কী ঘটেছিল, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ডিজি মইনুল

পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে শেখ হাসিনা ও ভারতের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর