শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ২২ শাবান, ১৪৪৬

মূলপাতা জামায়াতে ইসলামী

স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তার হওয়ার ঘোষণা জামায়াত আমীরের


জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬:২৫ অপরাহ্ণ

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তার হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির আমীর ডা. শফিকুর রহমান।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দেন।

শফিকুর রহমান লেখেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, ফ্যাসিবাদের নিষ্ঠুর জুলুমের শিকার মজলুম জননেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম সাহেব এখনও বন্দি রয়েছেন। একে একে সব জাতীয় নেতারা মুক্তি পেলেও তিনি বৈষম্য ও জুলুমের শিকার হয়ে বন্দি জীবনের কঠিন বোঝা বহন করে চলেছেন।’

জামায়াত আমীর আরও লেখেন, ‘তাকে (এ টি এম আজহারুল ইসলাম) কারাগারে রেখে বাইরে অবস্থান করা আমার পক্ষে আর একেবারেই সম্ভব নয়। আমরা সরকারকে যথেষ্ট সময় দিয়েছি।এই জুলুমের প্রতিবাদে এবং জনাব এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে আমি নিজে স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত প্রাঙ্গনে হাজির থাকব।’

 

ডা. শফিকুর রহমান আরও লিখেছেন, ‘আইন মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সময়মতো আমাকে যথাস্থানে পাবেন, ইনশাআল্লাহ।’

উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

পরবর্তীতে আপিল বিভাগের রায় রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আবেদন করেন আজহারুল ইসলাম। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি সেই রিভিউ আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এটিএম আজহারকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে যায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে আপিলে শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা-হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং বাড়িঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়েছিল।

আরও পড়ুন: ‘জল্লাদ’ খ্যাত আলেপের বিরুদ্ধে গুম করা ব্যক্তির স্ত্রীকে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর