রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ
দীর্ঘ ১৭ বছর পর নাইকো দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট আসামি খালাস পেয়েছেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, রাজনৈকভাবে হয়রানি করতেই এই মামলা করা হয়েছিল।
আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
খালেদা জিয়া বর্তমানে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অবস্থান করছেন। তার পক্ষে আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন তার আইনজীবী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন জিয়া।
জানা গেছে, এ মামলায় ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৩৯ জনের সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি এ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
প্রসঙ্গত, কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০১৮ সালের ৫ মে ওই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন-তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। এদের মধ্যে তিন জন পলাতক রয়েছেন।
মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: উদারতাকে দুর্বলতা ভাববেন না, ছাত্রদলকে শিবির