বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৭ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ২০ শাবান, ১৪৪৬

মূলপাতা আইন-আদালত

সেই বিতর্কিত এসপি তানভীর আরাফাত সাময়িক বরখাস্ত


এস এম তানভীর আরাফাত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১৭ অপরাহ্ণ

কুষ্টিয়ার সেই বিতর্কিত সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাতকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত এই পুলিশ কর্মকর্তাকে কুষ্টিয়া সদর থানার মামলায় গত ২৬ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। তানভীর আরাফাত সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়,  তানভীর আরাফাতকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান মোতাবেক সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহসিন হাসানের সঙ্গে দুর্ব্যববহার করে সমালোচিত হন এসপি তানভীর। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দাখিল করেন ম্যাজিস্ট্রেট মহসিন হাসান। পরে নির্বাচন কমিশন থেকে সেই অভিযোগের অনুলিপি পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের দপ্তরে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ওই দিন ভেড়ামারা পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট মহসিন হাসানকে উদ্দেশ করে এসপি তানভীর বলেন, ‘আপনি কে? কী করেন এখানে? বেয়াদব, বের হয়ে যান এখান থেকে।’

এ ঘটনায় ওই বছরের ২০ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এসপি তানভীরকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। ২৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিকালে আদালত এসপি তানভীরকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘এমন কর্মকাণ্ড করবেন না, যাতে নাগরিকেরা মনে করে দেশ পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। আপনাদের কর্মকাণ্ডে জাতি উৎকণ্ঠিত।’

অভিযোগ রয়েছে, তানভীর আরাফাত ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ডিবির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) থাকাকালে চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজিয়েছিলেন। তখন চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নিয়ন্ত্রণে ছিল। পুলিশের অভিযানের পর ছাত্রলীগ কলেজ দুটি দখল করে।

 

২০১৫ সালের ১৮ মার্চ ডিবির এডিসি তানভীরের নেতৃত্বে গভীর রাতে চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে একে-২২ রাইফেলসহ নয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের দাবি করে পুলিশ।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, পুলিশের অভিযানের আগে গভীর রাতে কলেজ দুটিতে এসব অস্ত্র সরবরাহ করেন চট্টগ্রাম নগরীর নন্দনকানন এলাকার এক যুবলীগ ক্যাডার। তিনি সিএমপির এক সময়ের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ছিলেন। তিনি সিআরবিতে ডাবল মার্ডার মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এই যুবলীগ ক্যাডার আত্মগোপনে চলে যান। তবে তিনি এখনো চট্টগ্রামে আত্মগোপন করে আছেন।

আরও পড়ুন: আপনাদের কর্মকাণ্ডে জাতি উৎকণ্ঠিত, কুষ্টিয়ার এসপিকে হাইকোর্ট

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর