রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩:১৫ অপরাহ্ণ
রমজানের বার্তা নিয়ে বছর ঘুরে এলো পবিত্র শবে বরাত। আজ শুক্রবার দিবাগত রাতে পালিত হবে শবে বরাত।
শবে বরাত ‘লাইলাতুল বরাত’ নামেও পরিচিত। ফারসি ‘শব’ শব্দটির অর্থ রাত, আর ‘বরাত’ শব্দের অর্থ ভাগ্য। তাই শবে বরাত শব্দের অর্থ ভাগ্যরজনী বা ভাগ্যের রাত। এ কারণে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে শবে বরাত ‘সৌভাগ্যের রজনী’ হিসেবে পরিচিত।
পবিত্র মাহে রমজানের আগমনী বার্তা নিয়ে প্রতিবছর আরবি শাবান মাসের ১৪ তারিখে এ রাত আসে। তাই শবে বরাত থেকেই কার্যত রমজানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়।
আগামীকাল শনিবার সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত এ রাতের ফজিলত অব্যাহত থাকবে।
হযরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন-‘যখন শাবানের মধ্যবর্তী রাত তথা শবে বরাত আসবে তখন তোমরা ঐ রাত জেগে ইবাদত করো এবং দিনে রোজা রাখো।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, শাবানের মধ্যবর্তী রাত্রি পরিচ্ছেদ, হাদীস নম্বর-১৩৮৮)।
যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দেশের মুসলিম সম্প্রদায় শবে বরাত পালন করবেন। এ উপলক্ষে সারাদেশে মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণ এই রাতে বিশেষ বরকত হাসিলের মানসে দেশের মুসলিম সম্প্রদায় রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আসকার, মিলাদ-মাহফিল, কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ আদায় ও নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনায় মশগুল থাকেন। অনেকে মৃত স্বজনের কবর জিয়ারত করেন।
বর্তমান সময়ে শবে বরাতে এমন কিছু কর্মকাণ্ড প্রচলিত, যা সম্পূর্ণ শরিয়ত বিরোধী। যেমন- ঘরবাড়ি, অফিস-আদালত, দোকান-পাঠ, মসজিদ ইত্যাদি আলোকসজ্জা করা, মাজার ও কবরস্থানে ফুল দেওয়া, আতশবাজি, পটকা ফোটানো ইত্যাদি। হালুয়া-রুটিকে শবে বরাতের প্রধান কর্ম মনে করা হয়। শরিয়তে এসব কাজের কোনো ভিত্তি নেই।
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিকবৃন্দ আলাদা বাণী দিয়েছেন।
শবে বরাতের পবিত্রতা রক্ষায় রাজধানীতে বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি, পটকা ও অন্য ক্ষতিকারক দ্রব্য বহন এবং ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা ঢাকা মহানগর পুলিশ।
আরও পড়ুন: পবিত্র শবে বরাতে বিদআতের কী আছে?