রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬:০৯ অপরাহ্ণ
বন্দী বিনিময় চুক্তির আওতায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে দিল্লিকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়েছে ঢাকা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো জবাব দেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
রফিকুল আলম বলেন, বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনাতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র ভারত সরকারকে পাঠানো হয়েছে। রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক উভয় সিদ্ধান্তেই এ কূটনৈতিক পত্র পাঠানো হয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাত্র ২২ দিনের বিক্ষোভে পতন হয় স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের।
গত বছরের ৩ আগস্ট ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লাখো মানুষের সমাবেশে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে সরকার পতনের এক দফা দাবি ঘোষণা করা হয়।
পরদিন ৪ আগস্ট ঢাকাসহ সারাদেশে ছাত্র-জনতাকে প্রতিরোধ করতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অস্ত্র নিয়ে মাঠে নামে। এ দিন সারাদেশে পুলিশ, শিক্ষার্থী ও বিএনপির নেতাকর্মীসহ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়।
এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন ঘেরাও করতে ৫ আগস্ট ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেদিন রাস্তায় নেমে আসেন লাখো মানুষ। শেষ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় গণঅভ্যুত্থানের মুখে পতন হয় স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের।
ওই দিন দুপুর ১২টার দিকে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে গণভবন থেকে হেলিকপ্টারে করে তেজগাঁও কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটিতে চলে যান। সেখান থেকে তারা বিমানবাহিনীর একটি বিমানে করে ভারতে পালিয়ে যান।
এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের ক্ষমতার অবসান ঘটে। শেখ হাসিনার পতনের পর লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে আনন্দ-উল্লাস করেন।
এরপর ছাত্র-জনতার দাবির মুখে গত ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এরপর বদলে যেতে শুরু করে দেশের সার্বিক চিত্র।
আরও পড়ুন: ১৭ বছরের সব গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী: মির্জা ফখরুল