বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৭ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ২০ শাবান, ১৪৪৬

মূলপাতা রাজধানী

শাহবাগে আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ


শাহবাগে মোড়ে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ওপর পুলিশের জলকামান নিক্ষেপ। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩:২৭ অপরাহ্ণ

রাজধানীর শাহবাগে আন্দোলন করা শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে পানি ছিটিয়ে সড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে সড়ক অবরোধমুক্ত হলেও বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ এলাকা ছাড়েননি।

আজ সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে এসব ঘটনা ঘটে। এর আগে বেলা দেড়টার দিকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে শাহবাগে মোড়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সরেজমিন দেখা যায়, শাহবাগ মোড়ের বাঁ পাশের সড়কে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুপারিশপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকেরা এবং ডান পাশের সড়কে এনটিআরসিএর নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশীরা অবস্থান নেন। এতে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে রাখা জলকামান থেকে পানি ছিটিয়ে ও লাঠিপেটা করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। এ সময় ছত্রভঙ্গ হয়ে শিক্ষকেরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়মুখী সড়কে আবারও অবস্থান নেন। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়মুখী সড়কটি ছাড়া শাহবাগের মোড়ের অন্য সড়কগুলো যানজটমুক্ত হয়।

তৃতীয় ধাপে মনোনীত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগপ্রত্যাশীরা বলছেন, তাদের নিয়োগ বাতিল করে যে রায় দেওয়া হয়েছে, সেটি বৈষম্যমূলক। এই সরকারই তাদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে আবার সেটা বাতিল করেছে। এটি শিক্ষকদের সঙ্গে প্রতারণা। তাই রায় বাতিল করে নিয়োগ চূড়ান্ত করার দাবি জানান তারা।

আন্দোলনরত তানিয়া সুলতানা বলেন, ‘আমরা শিক্ষক নিয়োগের প্রত্যেকটি ধাপ সঠিকভাবে অতিক্রম করে শিক্ষক হিসেবে মনোনীত হয়েছি। কিন্তু গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে আমাদের নিয়োগ স্থগিত করায় রায় দেয়।’

আন্দোলনে অংশ নেওয়া মো. আমিনুল ইসলাম নামে এনটিআরসিএর নিবন্ধিত নিয়োগ প্রত্যাশী একজন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছি। নিবন্ধিত হয়েও আমাদের কোনো নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। অথচ নানা দুর্নীতির মাধ্যমে ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে নিয়োগ হচ্ছে। তাই নিয়োগের দাবি নিয়ে সারা দেশ থেকে জড়ো হয়ে আজ রাস্তায় নেমেছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে।’

এনটিআরসিএর নিবন্ধিত নিয়োগ প্রত্যাশী শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক জিএম ইয়াছিন বলেন, ‘এনটিআরসিএ এখন পর্যন্ত ১৭টি নিয়োগ পরীক্ষার সুপারিশ করলেও মাত্র ৫টি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ দিয়েছে। এতে প্রায় ১২-১৩ হাজার যোগ্য শিক্ষক বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। বহু নিবন্ধিত শিক্ষক একাধিকবার পরীক্ষায় পাস করেও চাকরির সুপারিশ পাননি। অথচ কিছু লোক আবেদন ছাড়াই নিয়োগ পেয়েছেন।’

 

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করেন হাইকোর্ট। মেধার ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

তারও আগে গত বছরের ১৯ নভেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: মাস্কটে বৈঠকে বসছেন তৌহিদ-জয়শঙ্কর

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর