শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ২২ শাবান, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

সারাদেশে যৌথবাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু


আজ রাতে সারাদেশে অভিযানে নামছে যৌথবাহিনী। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪:১১ অপরাহ্ণ

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু করছে যৌথবাহিনী।

আজ শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ থেকেই গাজীপুরসহ সারাদেশে এই অভিযান শুরু হবে বলে জানানো হয়।

তবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ এর ব্যাপারে আগামীকাল রোববার প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, গতকাল রাত ১০টার দিকে গাজীপুর ধীরাশ্রমের দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর হয়। এ সময় সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হন।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুর জেলা সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল মাহিম জানান, আ ক ম মোজাম্মেল হকের ধীরাশ্রমের বাড়িতে লুটপাট হচ্ছ-এমন খবরে লুটপাট ঠেকাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। পরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও এলাকাবাসী তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আহত হন কমপক্ষে ২০ জন। এর মধ্যে গুরুতর আহত পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আহতদের মধ্যে অন্তত তিনজনের অবস্থা গুরুতর।

 

এদিকে সকালে আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ বিচারের আওতায় আনা হবে।

সারজিস আলমের কড়া হুঁশিয়ারি
গত রাতের এই হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার দুপুরে গাজীপুর জেলা শহরের রাজবাড়ী মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই সমাবেশে যোগ দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম হামলায় জড়িত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে না পাঠানো পর্যন্ত রাজপথে অবস্থানের ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোথাও আমাদের কোনো সহযোদ্ধার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করলে পুরো বাংলাদেশ আবার নতুন করে জেগে উঠবে। আমরা প্রয়োজনে যেমন ঢাকায় নামতে পারি, যেমন গাজীপুরে আসতে পারি, আমরা প্রয়োজনে দেশের প্রত্যেকটি জেলায় জেলায় যেতে পারি। আমরা অভ্যুত্থানে দেখিয়েছি, এদেশের ছাত্র-জনতা সঠিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে ধৈর্য ধরেছে। কিন্তু একটা ধৈর্যের বাঁধ আছে। এই দেশে প্রশাসন থেকে শুরু করে যারা কাজ করছে তারা যদি আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে ফেলে তাহলে দেশে নতুন আরেকটি বিপ্লব দেখতে হবে।’

আরও পড়ুন: ‘গাজীপুরে আজকেই হবে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের শেষ দিন’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর