রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার ৫ নম্বর সড়কে অবস্থিত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
আজ বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভবনটিতে আগুন দেয়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই পুরোপুরি খালি ছিল সুধা সদন।
ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফেসবুক লাইভে ভাষণ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতা প্রথমে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে এক্সকেভেটর দিয়ে বাড়িটি ভাঙছে তারা। এরপর শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনে আগুন দেওয়া হয়।
এদিকে খুলনা নগরীর শেরে বাংলা রোডের শিববাড়ি মোড়ে অবস্থিত ‘শেখ বাড়ি’ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ভাই শেখ আবু নাসেরের বাড়ি।
আজ রাত নয়টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ঘোষণা দিয়ে ওই বাড়িতে ভাঙচুর চালান। পরে তারা সিটি করপোরেশনের দুটি বুলডোজার নিয়ে বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়া শুরু করেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা জানায়, যারা ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল সেসব ফ্যাসিবাদীদের কোনো চিহ্ন বাংলাদেশের মাটিতে রাখতে চাই না। অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে থেকে জানানো হয়, ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বুধবার রাতে ছাত্রদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন।
গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার প্রতিবাদে ফেসবুকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে বুলডোজার মিছিলের ডাক দেয়।
হাসিনার ভাষণের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর ভিডিও, ডকুমেন্টারি ও ছবি প্রদর্শনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বিষয়টি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন। এতে তিনি লেখেন-‘আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।’
অপর একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘হাসিনাকে বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ দেওয়াকে বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ-বিরোধী জনগণের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধ হিসেবে দেখি।’
আরও পড়ুন: উত্তাল ধানমন্ডি ৩২, বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ