রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮:০৮ অপরাহ্ণ
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর অভিমুখে আজ বুধবার রাত ৯টায় বুলডোজার মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। দিল্লিতে বসে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বাংলাদেশ বিরোধী অপতৎপরতার প্রতিবাদে ’২৪-এর বিপ্লবী ছাত্র-জনতা এ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। এরই মধ্যে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে মিছিল নিয়ে ঢুকে পড়েছে ছাত্র-জনতা।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ছয় মাস পূর্ণ হয়েছে আজ। টানা ১৫ বছর ধরে গুম, খুন, দমনপীড়ন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতি, লুটপাট চালানোর পরও ছয় মাস পূর্ণ হওয়ার দিনই দিল্লি থেকে একটি ভাষণ দেবেন বলে ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা।
আজ রাত ৯টায় এই ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। তার এই ভাষণের ঘোষণার খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
গণহত্যাকারী হাসিনার ভাষণ দেয়ার ধৃষ্টতা দেখানোর প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বুলডোজার মিছিলের ডাক দেয়।
ফ্যাসিবাদের দোসরার এই ভাষণকে ‘রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের বার্তা’ হিসেবে প্রচারণা চালালেও ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ জনতা। তবে ফ্যাসিবাদির এই ধৃষ্টাতা রুখতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
হাসিনার ভাষণের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর ভিডিও, ডকুমেন্টারি ও ছবি প্রদর্শনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা। সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়, তারা ঢাকার বিভিন্ন মোড়ে, বাজার ও জনবহুল স্থানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চিত্র তুলে ধরবে। একইসঙ্গে, দেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে এ বিষয়ে বিশেষ বুলেটিন প্রচারের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন। এতে তিনি লেখেন-‘আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।’
অপর একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘হাসিনাকে বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ দেওয়াকে বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ-বিরোধী জনগণের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধ হিসেবে দেখি।’
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দুই শব্দের একটি পোস্ট দিয়েছেন। এতে তিনি লেখেন-‘উৎসব হোক!’
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ এক পোস্টে লেখেন, ‘আজ জুলাই অভ্যুত্থানের ৬ মাস পূর্ণ হলো। এই ঐতিহাসিক দিনে বঙ্গের কসাই হাসিনা প্রকাশ্যে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কী দিনটাই না বেছে নিল! এখন আমাদের আবার জাগবার সময়। আসুন, এই ঐতিহাসিক দিনে সব ফ্যাসিবাদী উপাদান নির্মূল করি।’
এদিকে আজ দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘খুনি, গণহত্যাকারী, ফ্যাসিস্ট হাসিনার কোনো বক্তব্য যদি মিডিয়াতে প্রচার করা হয়, সেটার পরিণতি সেই মিডিয়াকেই নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: দেশকে চারটি প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ