রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক
প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪:৪৭ অপরাহ্ণ
হত্যা মামলার শুনানির এক পর্যায়ে অঝোরে কেঁদে সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার আদালতকে বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ছাত্রদের দাবি মেনে নিতে বলেছিলাম।’
আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইসতিয়াকের আদালতে তিনি এ কথা বলেন। গত ৫ আগস্ট ঢাকার মিরপুরে মহিউদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।
শুনানিতে কামাল আহমেদ মজুমদার দাবি করেন, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন। তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন, ছাত্রদের দাবি মেনে নিতে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের স্বপক্ষে এই বক্তব্য রাখার কারণে তার গণভবনে ঢোকা নিষেধ ছিল।
এসব কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে কামাল আহমেদ মজুমদার কাঁদতে থাকেন। তিনি আদালতকে বলেন, ‘একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।’
কামালের এসব বক্তব্য অসত্য বলে দাবি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী।
কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘দেশে যদি সত্যিকারের আইনের শাসন থাকত, তাহলে আমাকে এভাবে হয়রানি করা হতো না। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। বাদীর কোনো খবর নেই। এখন আমার পরিবার বাসায় থাকতে পারছে না।’
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী আদালতের উদ্দেশে বলতে থাকেন, ‘আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আদালতের প্রতি আমার সম্মান রয়েছে। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।’
‘মিথ্যা মামলা’ প্রসঙ্গে কামাল আহমেদ মজুমদারের বক্তব্যের বিষয়ে পিপি ওমর ফারুক ফারুকী আদালতকে বলেন, জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশ যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, যে গণহত্যা হয়েছে, সেটি পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। মিথ্যা মামলা দায়েরের কথা বলা মানে হচ্ছে, খুনের শিকার সেই সব নিহত সন্তানদের সঙ্গে পরিহাস।
পিপি আদালতকে বলেন, ‘কামাল আহমেদ মজুমদার বলছেন, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি মানুষ হত্যা করা? দিনের ভোট রাতে করা? ভোটবিহীন বছরের পর বছর ক্ষমতায় থাকা? মানুষ গুম করা? হত্যা করা? উনি কেন দাবি করেন, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা?’
আরও পড়ুন: ‘শেখ হাসিনার দুর্নীতির বিষয়ে পিএইচডি দেওয়া দরকার’